কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার খালিদ বিন নূরকে সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা ২টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসপি খন্দকার খালিদ বিন নূরকে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
পরবর্তী এসপি পদায়নের আগ পর্যন্ত সিলেট রিজিয়নের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘এসপি না থাকাকালে আমাদের রুটিন ওয়ার্ক, দৈনন্দিন দায়িত্বগুলো পালন করব। আজ (বুধবার) থেকে প্রশাসনিক, দাপ্তরিক ও অফিসার-ফোর্সদের ছুটির বিষয়গুলো দেখব। আর অল্প দিনের মধ্যে এখানে একজন এসপি পাঠানো হবে।’
জানা গেছে, এসপি খন্দকার খালিদ বিন নূর সিলেট রিজিয়নে যোগদানের পর থেকেই অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গালাগালিসহ নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে। চাকরির ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউই মুখ খুলতে সাহস পাননি। ইউনিট প্রধানের অসদাচরণ সইতে না পেরে অনেকেই বদলির আবেদন করেছিলেন। সর্বশেষ এসপি খন্দকার খালিদের এসব অপকর্ম, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গালাগালি সইতে না পেরে চাকরি ছাড়ার আবেদন করেন ইন্দ্রজিত নামের এক পুলিশ সদস্য।
অনন্যোপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসানের কাছে লিখিতভাবে বিস্তারিত তুলে ধরেন কনস্টেবল ইন্দ্রজিত দেব। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি ২৩ মার্চের মধ্যে অব্যাহতি চান।
পরদিন বিকেলে অনলাইনে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান সিলেট রিজিয়নের অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে জুম মিটিং করেন। মিটিংয়ে রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, পরিদর্শক গোলাম দস্তগীর আহমেদসহ শতাধিক অফিসার-ফোর্স যুক্ত হয়ে কথা বলেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিতর্কের মুখে অবশেষ সেই এসপিকে বদলি করা হলো সিলেট থেকে।