নি ষি দ্ধ সংগঠনের অপতৎপরতায় ক্ষুব্ধ সিলেট

  • আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাসায় হামলা

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

চব্বিশের ৫ আগস্ট আওয়ামী স্বৈরশাসকের পতনের পর দলটির সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সিলেটে থামেনি তাদের অপতৎরতা। মাঝে-মধ্যেই রাতের আঁধারে বা নির্জন সকালে ১০-১৫ জনের মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে এমনই একটি মিছিল হয়েছে সিলেট মহানগরের ধোপাদিঘীরপাড় এলাকায়। 

এই মিছিলের ছবি-ভিডিও ভার্চুয়াল মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সিলেটের প্রতিবাদী যুবসমাজ। এরই জের ধরে বুধবার বিকাল ও রাতে সিলেটে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহানগরের পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় শতাধিক তরুণ-যুবক মিছিল সহকারে গিয়ে এ হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালান।

এরপরে ধারবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর (নাদেল) টিলাগড়ের শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বাসায়  সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, মেজরটিলা এলাকায় অবস্থিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায় এবং পীর মহল্লা এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তদের একটি দল।

এছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ভাই প্রবাসী সাংবাদকি শাফিউল ইসলাম শাফির বাসায়ও হামলা চালানো হয়।

এদিকে, নিষিদ্ধ সংগঠনের অপতৎপরতা ঠেকাতে বুধবার সকালে মিছিলে অংশগ্রহণ করা ৮ জনকে এদিন বিকাল ও রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ। তারা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মী।

আটকরা হলেন- সিলেট মহানগরের পূর্ব পাঠানটুলা লন্ডনি রোড এলাকার শাফায়েত খান (৩৪), মদিনা মার্কেট এলাকার জহিরুল ইসলাম (১৯), পাঠানটুলার আমির খান গলির সোহেল আহমদ সানী (১৮), একই গলির বশির খান লাল (৫০), খাদিমপাড়া এলাকার সোয়েব আহমেদ (২৫),  টুকেরবাজার নালীয়া এলাকার রবিন কর (২৩), নাইওরপুল এলাকার ফাহিম আহমদ (২৩) ও শামীমাবাদ এলাকার রাজন আহমদ রমজান (২৩)।