কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
বিভিন্ন দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- এমন প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।
এ প্রশ্নে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় এবং আর্থিকভাবে সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেনাবাহিনী চেষ্টা করে- যত কম সময়ের মধ্যে অবরোধ মুক্ত করা যায়। রাজধানীতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অবরোধ মুক্ত করতে পেট্রোলিং ও কর্ম তৎপরতার মাধ্যমে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এ সেনা কর্মকর্তা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক অবরোধের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কীভাবে কাজ করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ থাকলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবচাক প্রভাবসহ সব খাতে নেতিবচাক প্রভাব পড়ে। শুধু ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কে মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা অবরোধ ছিল। এ অবরোধে দুর্ভোগ বেড়ে যায় এবং আর্থিকভাবে সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেনাবাহিনী চেষ্টা করে যত কম সময়ের মধ্যে অবরোধ মুক্ত করা যায়।
ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর চেষ্টায় অবরোধ মুক্ত করা হয়েছে।
রাজধানীতে অবরোধের বিষয়ে এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর পেট্রোলিং ও কর্ম তৎপরতার মাধ্যমে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি অবরোধমুক্ত করার জন্য।
গত ৮ মাস ধরে সশস্ত্র বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কোনো চাপ পাচ্ছে কি না? রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে কি না অথবা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ থেকে কোনো থ্রেটের সম্মুখীন হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধা পাচ্ছি না। আমরা যে কোনো অপরাধীকে গ্রেফতারের পর অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করি। সেখানে পরবর্তী আইনি বিচারকাজ সেনাবাহিনীর দায়িত্বের বাইরে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে যতটুকু ব্যবহার করার দরকার ততটুকুই ব্যবহার করা হচ্ছে।
কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ অনুভব করছে কি না সেনাবাহিনী? এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত। সরকারের নির্দেশিত যে কোনো দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং পালন করে যাবো। সেনাবাহিনী সততা, ন্যায়-নীতির সঙ্গে, প্রত্যয় ও সহনশীলতার সঙ্গে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো রকম গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়। বরং সেনাবাহিনী আরও একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির পাশে কাজ করে যাচ্ছে।