কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত ফাহিম আহমদের (২৭) মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) মাগরিবের নামাজের পর গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফাহিম গোলাপগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বারকোট গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি সিলেট মহানগরের লালদিঘীরপারস্থ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ফাহিম ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির প্রতিবেশী ফুফুর পরিবারের সঙ্গে ফাহিমের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফাহিম ও ফুফুর পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করেন ফুফাতো ভাই।
ফাহিমকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন ফাহিম।
ফাহিমের ভাই শাহ আলম জানান, ‘ফাহিম প্রতি বৃহস্পতিবার শহর থেকে বাড়িতে আসতো। এ সপ্তাহে একদিন আগেই (বুধবার) বাড়িতে চলে আসে। তাকে দেখেই ফুফু ও তার ছেলেরা গালাগালি শুরু করে। এসময় তর্কাতর্কীর একপর্যায়ে ফুফাতো ভাই তাকে (ফাহিম) ছুরি দিয়ে পেঠে আঘাত করে।’
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্যা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কওমি কণ্ঠকে বলেন- এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এখনো ঘাতককে গ্রেফতার করা যায়নি, চেষ্টা চলছে।