কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে বড় অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জায়গা বিক্রির কথা বলে আরেক প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে তিনি ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে পাওয়া গেছে অভিযোগ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার রাউতখাই গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ কামাল আহমেদের (৫৫) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গ্রিস প্রবাসী মুহিবুর রহমানের। এ সম্পর্কের সুবাদে দুই পরিবারের মাঝে ঘনিষ্টতা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে মুহিবুর রহমানের স্ত্রীকে বোন ডাকতে শুরু করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল।
চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সিলেট মহানগরের বাগবাড়ি এলাকায় অবস্থিত কামালের বাসায় থাকতে শুরু করেন গ্রিস প্রবাসী মুহিবুর রহমানের স্ত্রী-সন্তানরা।
এই সুযোগে মুহিবুর রহমানের কাছে জায়গা বিক্রি করবেন বলে তার স্ত্রী মোছা. হাছনা বেগমের কাছ থেকে কয়েক ধাপে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে নেন কামাল। স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়ায় হাছনা বেগম টাকাগুলো প্রদানের সময় কোনো প্রমাণ রাখেননি। আর এই সরলতার সুযোগ নেন কামাল। জায়গা রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন।
একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে বাগবাড়ি এলাকায় বিচারসালিশ হয়। এতে প্রবাসী কামাল উপস্থিত ছিলেন এবং জায়গা বিক্রি বাবদ ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। ওই বৈঠকে তিনি ৩৩ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি দ্রুত জায়গা অথবা বাগবাড়ির বাসা রেজিস্ট্রারি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এর পরপরই কামাল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং এখন পর্যন্ত কোনো জায়গা বা টাকা দেননি। উল্টো ভাড়াটে মানুষ দিয়ে মুহিবুর রহমানের স্ত্রী-সন্তানদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুহিবুর রহমানের স্ত্রী হাছনা বেগম কওমি কণ্ঠকে বলেন- ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রবাসী কামালের স্ত্রী রুহেনা বেগম ৪/৫ জন লোক নিয়ে আমার বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গেছেন। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন- নিরাপত্তার স্বার্থে ২৭ এপ্রিল আমি অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (ট্র্যাকিং নং: 33USX6) করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ কামাল আহমেদের যুক্তরাজ্যের ফোন নাম্বারে কল দিলে তিনি রিসিভের পর কথা বলেননি। পরে ক্ষুদেবার্তা দিলেও এর জবাব দেননি।