কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিলেট অফিসে ৫০ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু অভিযানে গিয়ে জানা গেলো আরেকটি গুরুতর অভিযোগ। এ অফিসে ঘুষের টাকা না দিলে মারধর করা হয় সেবাগ্রহীতাদের।
বিআরটিএ সিলেট অফিসের পরিদর্শক দেলয়োর হোসেন হকিস্টিক দিয়ে সেবা নিতে আসা মানুষকে মারধর করতেন। তার কক্ষ থেকে হকিস্টিক জব্দও করেছে দুদক টিম।
বুধবার (৭ মে) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিলেট বিআরটিএ অফিসে ‘এনফোর্সমেন্ট অপারেশন’ পরিচালনা করেন দুদক সিলেট অফিসের কর্মকর্তারা।
এসময় অফিসটির মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনর কক্ষ থেকে ৫টি ব্ল্যাংক চেক, ৩টি মোবাইল ফোন এবং একটি হকিস্টিক জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে একটি আবেদন ও গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা জব্দ করে দুদক।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সিলেট অঞ্চল সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান- বিআরটিএ সিলেট অফিসে ৫০ কোটি টাকার ঘুষের লেনদেন হচ্ছে- এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছেন তারা। অভিযানে সিলেট বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনর রুম থেকে ৫টি ব্ল্যাংক চেক পাওয়া যায়। তার রুমের আলমারি থেকে ৩টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে, যেগুলো তিনি অবৈধ কাজে ব্যবহার করতেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া হয়েছে।
এছাড়া তার কক্ষ থেকে একটি হকিস্টিক জব্দ করেছে দুদক। এটি দিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে অত্যাচার করতেন বলে জানান দুদক কর্মকর্তা আশরাফ।
দেলোয়ারের কক্ষ থেেকে জব্দকৃত ৩টি মোবাইল সিলেট বিআরটিএ অফিসের পরিচালকের জিম্মায় দিয়েছে দুদক টিম।
অপরদিকে, সিলেট বিআরটিএ অফিসের রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কক্ষ থেকে একটি আবেদনে লাগানো গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা জব্দ করে দুদক।
দুদক সিলেট অঞ্চল সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দনি বলেন- জব্দকৃত সব আলাতম ও কাগজপত্র আমরা পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পাঠাবো।