কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের সহকারী বাবুর্চি। জনবল সংকটের অজুহাতে বাবুর্জিকে মানুষের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত রাখায় কর্তৃপক্ষের এমন উদাসিন আচরণ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে উপজেলায়। হাসপাতাল কর্তপক্ষের দাবি, জনবল না থাকায় সহকারী বাবুর্জিকে ওয়ার্ড বয়ের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ন এমন কাজে অদক্ষ মানুষ নিয়োগের বিষয়ে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভিন্ন সময় নানা ঘটনা নিয়ে আলোচনায় থাকে। কর্মকর্তাদের দ্বায়িত্বে অবহেলা, রোগীদের নিন্ম মানের খাবার সরবরাহসহ নানা ঘটনায় একাধিকবার সাংবাদ মাধ্যমে আসলেও থামছে না এসব ঘটনা। এসব ঘটনায় কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ইচ্ছা মতো চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। সঠিক ভাবে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাওয়া নিয়ে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ থাকলেও বাবুর্জি দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় আবারও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে। গত সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা একাধিক রোগীদের ওয়ার্ড বয়ের সেবা দিয়েছে হাসপাতালের সহকারী বাবুর্চি সুফি মিয়া। এসময় পাশে বসা ছিলেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনোতোষ রঞ্জন চন্দ। তিনি চেয়ারে বসে বাবুর্চির ব্যান্ডেজ লাগানো দেখছিলেন। বাবুর্চি দিয়ে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করানোর কথা স্বিকার করে তিনি বলেন, জনবল সংকট থাকায় তাদের দিয়ে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করানো হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা আমি দিচ্ছি।
হাসপাতালের সহকারী বাবুর্চি সুফি মিয়া বলেন, আমাকে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করতে বলা হয়েছে। তাই আমি দ্বায়িত্ব পালন করছি।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেপী দাস বলেন, এইটা আসলে আমাদের জনবল সংকটের কারণে হয়ে থাকে। একটি জরুরী বিভাগ পরিচালনা করতে টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। এজন্য আমাদের কিছু রোস্টার ডিউটি অন্যদের দিয়ে করাতে হয়। চিকিৎসা ডাক্তার দেন। সহকারী বাবুর্চি হলেও উনাকে দিয়ে ওয়ার্ড বয়ের করা করানো হচ্ছে।