কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবি না মানায় সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে এ ‘ধর্মঘট’ শুরু হয়েছে।
তবে এ আন্দোলনে দেখা দিয়েছে সমন্বয়হীনতা। এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেনি ‘সিলেটের পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ’। যে সংগঠন সম্প্রতি পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বেশি কর্মসূচি পালন করছে। গত সোমবার (৩০ জুন) থেকে সিলেট জেলায় পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছিলো সংগঠনটি। কিন্তু পবিত্র আশুরা ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিলেট আগমনের কারণে তার এই কর্মসূচি বাতিল করে। এরই মাঝে ‘ধর্মঘট’ ডেকে বসেছে সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।
‘সিলেটের পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ’র এক নেতা কওমি কণ্ঠকে শনিবার সকালে বলেন- এই কর্মসূচির সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করিনি। কারণ- আগামীকাল (রোববার) পবিত্র আশুরা। এছাড়া ৭ জুলাই সিলেটে আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ফলে আমরা এসবের পরে আন্দোলনের চিন্তা করছি। এছাড়া শুক্র-শনিবার থাকে সরকারি ছুটি, পবিত্র আশুরার দিনও সরকারি ছু্টি। এসব দিনে ‘ধর্মঘট’ ডাকা অহেতুক।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত সংগঠনটির এক সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন- সিলেটের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মক্ষেত্র পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান হারিয়েন সিলেটের লাখো মানুষ। এছাড়া পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট হাজারো পরিবহন শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সব কোয়ারি খুলে দিলে একদিকে যেমন বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, অপরদিকে সিলেটের লাখো মানুষের জীবিকার পথ সুগম হবে।
বক্তারা অবিলম্বে কোয়ারিগুলো খুলে দিতে সরকারের কাছে জো দাবি জানান। অন্যথায় ৫ জুলাই (শনিবার) থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন সিলেটের সর্বস্তরের ট্রাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।