দু’দিনে ৫ খু-ন, প্রকাশ্যে

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

গত দুইদিনে প্রকাশ্য হামলায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনসহ অন্তত ৫জন নিহত হয়েছেন। যাদেরকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাকু, চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এর মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজারে দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘতি হয়েছে।  

বুধবার (৬ আগস্ট) পঞ্চগড়ের জাবেদ রহমান জয় (১৯) নামে এক ছাত্রদল কর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। তিনি পঞ্চগড় জেলা শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে।

তার উপর প্রতিপক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন হামলা চালায়। এরমধ্যে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে জয়ের পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে। দ্রুত হাসপাতালে নিলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

এরপর বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গাজীপুরের চৌরাস্তায় শত শত মানুষের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যার ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।

এ হত্যাকাণ্ডে যখন পুরো দেশে সমালোচনার ঝড় বইছিল তখন নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুরে প্রাইভেটকার থামিয়ে সাইদুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইভেটকারের ভেতরই তার গলা কাটা হয়। বাঁচতে তিনি বেরিয়ে আসলেও কোথাও যেতে পারেননি। ওই প্রাইভেটকারেই লেগে ছিল তার রক্ত। আর পাশে পড়েছিল মরদেহ।

জেলার বনপাড়া-গোপালপুর আঞ্চলিক সড়কের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের সামনে যখন যুবকের গলা কাটা হয় তখন তার চিৎকারে সাধারণ মানুষ ছুটে যান। কিন্তু কেউই কিছু করতে পারেননি।

অপরদিকে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার শহরের ব্যস্ততম শমশেরনগর রোডে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফয়জুর রহমান রুবেল নামে ৪২ বছর বয়সী ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি মৌলভীবাজার শহরের শমশেরনগর রোডের সদাইপাতি মার্কেটস্থ এফ রহমান ট্রেডিং এর মালিক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর দোকানে একা ছিলেন রুবেল। এ সময় হঠাৎ তিন থেকে চারজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশপাশের সিএনজি চালক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়।

এরপর সিলেট মহানগরের কিন ব্রিজের নিচে আলী আমজদের ঘড়ির পাশে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা  ঘটে।

নিহত ডালিম আহমদ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা এলাকার লোকমান মিয়ার ছেলে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ছিনতাইকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে প্রত‍্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- খুনি ওই যুবককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সবার সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে যায়। তার হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় কেউ তাকে ধরতে বা এগিয়ে আসতে সাহস করেননি। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।