কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
হ্যাপিকাণ্ডে বিতর্কে আসা মুফতি তালহা ইসলামের পদ স্থগিত করেছিলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। তিনি দলটির সহকারী মহাসচিব ছিলেন।
তবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পদটি ফিরিয়ে দিয়েছে জমিয়ত।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) জমিয়তের অফিস সম্পাদক হেদায়তুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়- গত ১৪ মে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা তালহা ইসলামের দলীয় পদ স্থগিত করে দলের পক্ষ থেকে একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে তার পরিবারের আনীত অভিযোগসমূহের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একই তারিখে ২ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে দলের সভাপতির আদেশক্রমে শুক্রবার পূর্বের জারিকৃত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, স্বামী মুফতি তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে কয়েক মাস পর পর বিয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আলোচনায় আসা সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। এ পর্যন্ত তার তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
গত মে মাসে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন হ্যাপি। মামলার পর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস।
এতে ওই আইনজীবি বলেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপি মডেলিং ও বিনোদন জগত ছেড়ে দ্বীনের পথে আসে। গত ৭ বছর আগে নড়াইলের সাবেক এমপি প্রয়াত মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহা ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু সময় পর থেকে জানতে পারেন- তালহা ইসলামের বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে। নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন তিনি। এখন পর্যন্ত তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন।
যৌতুকের জন্য হ্যাপিকে মারধর করা হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন- চারিত্রিক এসব সমস্যার পাশাপাশি তালহা ইসলাম প্রায়ই হ্যাপি ও তার সন্তানের ওপর নির্যাতন করেন। সামান্য কথার বিপরীত হলেই গায়ে হাত তুলতেন তালহা। এছাড়া যৌতুকের জন্য মাঝেমধ্যেই নির্যাতন করেছেন তিনি।
নাজনীন আক্তার হ্যাপি ওই সময় সাাংবদিকদের বলেন- তার আসল চরিত্র প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আমি তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য তালাকের কথা অসংখ্যবার বলেছি। যতবারই আমি তালাকের কথা বলতাম ততবারই তিনি আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তালাকের শরীয়তসম্মত অধিকারটা আমার কাছে নেই। তাকে যদি খোলা তালাকের কথা বলা হয় তখন তিনি বিশাল অ্যামাউন্ট দাবি করেন। যেমন- এক কোটি টাকা অথবা বাচ্চাকে আজীবনের জন্য দিয়ে দিতে হবে কোন দিন দেখতে পারব না- এরকম ধরনের শর্ত দেয়।
মামলা করার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে সাবেক এই অভিনেত্রী তখন বলেন, মামলা করার পর রাতেই তালহা বাসায় লোকজন নিয়ে এসে আমার ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তালহা।