কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
অর্ন্তবর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, সরকারের কাজ সরকার করেছে। এখন নেতাকর্মীদের কাজ হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গঠন করা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে যে আন্দোলন চলছে, তাতে দেশের মানুষ প্রতিদিন আরও বেশি করে যুক্ত হচ্ছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে তুনি এ কথাগুলো বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচার পতনের দীর্ঘ ১৫ বছরের যে আন্দোলন করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী দেশের সকল জনগণ, তারই পরিণতি ছিল জুলাই-আগস্ট আন্দোলন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্র ও জনতার পরিচয়ে মিশে গিয়ে স্বৈরাচারকে পালাতে বাধ্য করেছিল। এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের স্পষ্ট বার্তা। সেই ইতিহাস আমাদের প্রেরণা দেয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে। আজকে বৃষ্টির মধ্যেও এই বিজয় র্যালি প্রমাণ করে, জনগণ এখনও পরিবর্তনের পক্ষে।
সমাবেশ শেষে বের করা বিজয় র্যালিটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল , মহিলা দল সহ তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদক সিলেট বিভাগ, মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকএমদাদ হোসেন চৌধুরী, নজিবুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী প্রমুখ।
এর আগে সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশ স্থলে এসে জড়ো হতে থাকেন।