মাদক-জুয়া থেকে তরুণদের রক্ষা করতে হবে : ইউএনও ঊর্মি

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় সিলেট মহানগরির দক্ষিণাংশ যা দক্ষিণ সুরমা থানার আওতাধীন এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে চুরি-ছিনতাইসহ সকল প্রকারের অপরাধ দমনে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি তরুণ প্রজন্ম ও যুবসমাজের চরিত্র রক্ষায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন এবং তীর জুয়াসহ সকল রকমের জুয়া খেলা প্রতিরোধে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জনগণকে সামাজিকভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা কনফারেন্স হলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির নিয়মিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলছিলেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুন খান, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, মোগলাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) কাজী তোবারক হোসেন, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসির প্রতিনিধি এসআই অমিত সাহা, সিনিয়র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা রাণী মোদক,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বৃষ্টি,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার রীমা দাশ, দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিস অফিসের পক্ষে ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর টিটন সিকদার, সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রতিনিধি পলাশ মালাকার, উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল আজিজ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা। 

সভায় বক্তারা কিনব্রিজ থেকে চন্ডিপুল পর্যন্ত সড়কের প্রতিটি ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার আহবান জানিয়ে বলেন,বিশেষ করে অপরিসর স্টেশন রোডের যানজট দূরীকরণে এবং পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ভাসমান হকারদের কবল থেকে সড়কটি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। 
বক্তারা বলেন, কিনব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরির দু’প্রান্তে যাতায়াতে এখন কাজিরবাজার ব্রিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু কাঠ ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে রাজপথের উপর স্তুপিকৃত আকারে মালামাল রেখে দেয়ায় রেলগেইট থেকে রেলস্টেশন হয়ে কদমতলি বাসটার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রী সাধারণকে দূর্ভোগ পোহাতে হয়।এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন। 

বক্তারা নগরিতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর প্রতিকারে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

সভায় বিভিন্ন বক্তা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নাম্বারপ্লেটবিহীন সিএনজিচালিত অবৈধ অটোরিক্সাসমুহকে বৈধ নাম্বার প্লেইট প্রদান করা হলেও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলে মাদক পরিবহন, চুরি-ছিনতাই-রাহাজানী বন্ধে অনেকটা সহায়ক হতে পারে।
সভায় জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির নিয়মিত সভা প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে।