সারা দেশে আ ত ঙ্কে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

এ যেন আওয়ামী লীগের পরিণতির দিকে দিচ্ছে জাতীয় পার্টি। ১৫ বছরের স্বৈর-রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেমন চব্বিশের ৫ আগস্ট থেকে রোষানলে পড়ে জনতার হাতে খেতে হয়েেছে মারধর, এখন সেই আতঙ্কে সারা দেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতিসহ দলটির নেতাকর্মীদের উপর হামলার পর এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগ করে।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। 

সন্ধ্যার পর সেখানে পুলিশ ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

এদিকে,  জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদেরের উত্তরার বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে একদল লোক জড়ো হয়ে জিএম কাদেরকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে তার বিচার দাবিতে সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন।

জিএম কাদেরের স্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকে আমাদের বাসভবনের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের লোকজন মিছিল করছে, অনেক লোক জড়ো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানা থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, জিএম কাদের বাসায় নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বাসায় কোনো লোক থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।  

উল্লেখ্য, শুক্রবা (২৯ আগস্ট) রাতে ‌‘আওয়ামী লীগের দোসর’-খ্যাত জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।