সচিবালয়ে আ গু ন ‘ষড়যন্ত্রমূলক’!

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।’

এসময় তিনি নীলফামারীতে ছিলেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরো লিখেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ফিরছি।

এদিকে, সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগুন লাগে ষষ্ঠতলায়। আমাদের ফায়ার সার্ভিসে রাত ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয়, তারা ১টা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় আমাদের ফায়ার ফাইটারের একজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি একটি পাইপ নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হয়েছিলেন। এ সময় একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে তাকে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে আরও দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।

আগুনটা ছয়তলায় লেগেছে। সেটা ওপরের দিকে গেছে, নিচে আসেনি বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আগুনের ঘটনা তদন্তে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। কেবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে অলরেডি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাই পাওয়ারের একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের।