শাহপরাণে খু ন-ডা কা তি : মামলা-আটক নেই

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটের শাহপরাণ থানা এলাকায় রবিবার দিবাগত (১ সেপ্টে.) রাতে একটি খুন ও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এই দুই ঘটনায় এখনো মামলাও করেনি ভিকটিমরা। পুলিশের হতে নেই আটকও।
তথ্যগুলো মঙ্গলবার (২সেপ্টে.) সকালে কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুজিবুর রহমান।

সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন দাসপাড়ার নোয়াগাঁওয়ে এক আমেরিকা প্রবাসীর বাড়িতে রবিবার দিবাগত (১ সেপ্টে.) রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৮-১০ জনের ডাকাত দল প্রবাসী কমর উদ্দিন (কলমদর আলী)-এর বাড়িতে হানা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এসময় কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতরা।

কমর উদ্দিন (কলমদর আলী)-এর ভাগ্নে কওমি কণ্ঠকে বলেন- ‘মামা আমেরিকা প্রবাসী ও সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারস্থ শুকরিয়া মার্কেটের পুরনো ব্যবসায়ী। সম্প্রতি দেশে এসেছেন তিনি। রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত হানা দিয়ে গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্রে মুখে সবাইকে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তারা গুলি করতে করতে বাড়ি ত্যাগ করে। ফলে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসতে পারেনি।’

খবর পেয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে শাহপরাণ থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে সেখানে যায় পিবিআই-এর একটি টিমও।

অপরদিকে, শাহপরাণ আবাসিক এলাকার ২নং রোডের  ৮নং বাসায় ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

খবর পেয়ে সোমবার (১ সেপ্টে.) দুপুরে শাহপরাণ থানাপুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠায়।

নিহত রহিমা বেগম (৭০) ওই এলাকার হেপি কমপ্লেক্স নামক ৮নং বাসার ভাড়াটিয়া আব্দুল গাফ্ফারের স্ত্রী। তাদের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ থানার আইওর গ্রামে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছেলে বদরুল ইসলাম (৪২) তার মা রহিমা বেগমকে ছুরিকাঘাত করে বলে স্থানীয় সূত্র বলছে।

বদরুল ইসলাম ইমমতি পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। তবে ৪ মাস ধরে তিনি চাকরিচ্যুত। তিনি তার বাবা-মার চতুর্থ সন্তান। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুজিবুর রহমান কওমি কণ্ঠকে বলেন- দুই ঘটনায় জড়িতদেরই ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।