সিলেটে কে এই প্রতারক বিল্লাল

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

মো. বিল্লাল আহমদ। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার পিহর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় বিদ্যুৎ কর্মচারী। বর্তমানে সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ প্রধান কার্যালয়ের অধীনস্থ হয়ে চুক্তিভিত্তিক সিলেট ক্যান্টনমেন্টে লাইনম্যানে হিসেবে কাজ করছেন।

কিন্তু বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিল্লাল ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে আটক হন প্রতারণার অভিযোগে। পরে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, বেশ কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করা যায় যে- ভোক্তা অধিদপ্তরে দায়েরকৃত বিভিন্নজনের মামলার শুনানিতে বিল্লাল উপস্থিত থাকছেন এবং বিচারপ্রার্থীদের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে নিজেকে মামলার বাদিপক্ষের লোক বলে পরিচয় দেন। আবার কখনো নিজেও মামলার বাদী বলে জানান।

সম্প্রতি একটি শুনানিতে আচরণ ও কথা-বার্তায় সন্দেহ হয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের।

পরবর্তীতে বিল্লালের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- তিনি নিজেকে অনেকের কাছে সেনাবাহিনীর লোক বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করেন। ভোক্তা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শুনানিতে তিনি অংশগ্রহণ করে অভিযুক্ত পক্ষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এর আগে বিল্লাল অভিযোগকারী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এর ফলে অনেক সময় বাদীপক্ষও তার কথায় প্রভাবিত হয়ে যায়।

এদিকে, বুধবার দুপুরেও একটি শুনানিতে অংশ নেন বিল্লাল আহমদ। এ মামলার বাদী সেনাবাহিনীর একজন লোক। বিল্লাল শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে বাদীর প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী- বাদীর প্রতিনিধি হতে গেলে লিখিত অনুমতি বা অনুমোদনপত্র লাগে। কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিল্লাল তা দেখাতে পারেননি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। এসময় তাকে আটক করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিকাল ৩টার দিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় শীর্ষ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করে বিল্লালের বিষয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এদিকে দেখা যায়, মো. বিল্লাল আহমদের পেশাগত পরিচয়পত্রটি মেয়াদোত্তীর্ণ। তবে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হলে বুধবার বিকালে তাদের পক্ষ থেকে মুচলেকা দিয়ে বিল্লালকে নিয়ে যান তারা।