কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ঐতিহ্যবাহী সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোট গ্রহণ। পরে গণনা ও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনে ৮টি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৮ জন। বাকি ৪ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ প্রার্থী। এর মধ্যে সভাপতি পদে ফয়সল আহমদ বাবলু ও মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মিসবাহ উদ্দীন আহমদ ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে অমিতা সিনহা, এম. আর টুনু তালকুদার ও রবি কিরন সিংহ (বর্তমান) এবং সদস্য পদে তুহিন আহমদ, মো. মোহিদ হোসেন, মো. সোহেল আহমদ সুহেল (নবীন সোহেল), রনজিৎ কুমার সিংহ (বর্তমান), রাজীব আহমেদ রাসেল (রাজীব রাসেল) ও রায়হান উদ্দিন লড়াই করছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- সহসভাপতি (প্রথম) মনিরুজ্জামান মনির, সহসভাপতি (দ্বিতীয়) সজল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রেজাউল হক ডালিম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জামিল আহমদ (আহমেদ জামিল) এবং পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. কে. এম সামিউল আলম, নির্বাচন কমিশনার মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং প্রার্থী ও ক্লাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ ডিসেম্বর জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর ক্লাব কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেন আগ্রহী প্রার্থীরা। পরবর্তী দুদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে একে একে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় ক্লাবের সদস্য এবং ভোটাররাও উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব কার্যালয় তখন মিলনমেলায় পরিণত হয়। ১৫ পদে ২২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পরে ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়। ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও আপিল শুনানির সময় ধার্য্য ছিলো। এসময় দুই পদে মনোনয়ন কেনা এক প্রার্থী একটি পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আর ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হলো চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
এদিকে, জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতভর মহানগরের সাংবাদিকপাড়া খ্যাত জিন্দাবাজার এলাকা ছিলো প্রার্থী ও ভোটারদের পদচারণায় মুখর। এ মিলনমেলায় প্রার্থীরা ভোট চান ভোটারদের কাছে। ভোটাররা শুভকামনা জানান প্রার্থীদের প্রতি। গোপন ব্যালটে ভোটারদের রায়ে আজ নির্ধারিত হবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মূলধারার সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দুই বছরের চূড়ান্ত নেতৃত্ব।