বিএনপির কাছে সিলেটের ৫টি আসন চায় ১২ দলীয় জোট

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক বা মিত্র দলগুলোর জন্য আসন ছাড় নিয়ে বোঝাপাড়ায় বিএনপি। বিএনপি এবার মিত্রদের সর্বোচ্চ ৪০ আসন ছাড় দিতে পারে বলে দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে। খবর ‘যুগান্তর’র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে- বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত মিত্র ছোট দলগুলো আলাদা আলাদাভাবে ২১৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে দলটির কাছে। এর মধ্যে ১২ দলীয় জোট সিলেট বিভাগের ৫টি আসন চায় বিএনপির কাছে।

সূত্র জানায়, ২১টি আসন চেয়ে বিএনপির কাছে তালিকা দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। এর মধ্যে মৌলভীবাজার-২ আসনে নবাব আলী আব্বাস, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সৈয়দ তালহা আলম, সিলেট-৬ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনে হাফেজ রশিদ আহমাদ ও সিলেট-৪ আসনে মাওলানা শেখ শরিফ উদ্দীন খাঁ-কে একক প্রার্থী চায় এই জোট।

জানা গেছে, বিএনপির কাছে গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮, ১২ দলীয় জোট ২১, এগারো দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি ১৩, জাতীয় পার্টি-বিজেপি ৫, গণফোরাম ১৫, লেবার পার্টি ৬ ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ১০টি আসনে তাদের প্রার্থীর নাম দিয়েছে।

তবে কৌশলের অংশ হিসাবে কোনো কোনো দল সরাসরি লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দিয়েছে। 

মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মিত্রদের কত আসন ছাড়বে, সেটা আলোচনা ও বিবেচনার বিষয়। আমরা এমন আসনেই শরিকদের প্রার্থী দেব, যেসব আসনে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় সেই দিকটিই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মিত্রদের কয়টি আসন ছাড় দেবে বিএনপি তা চলতি মাসেই জানা যাবে। যাদের ছাড় দেবে তাদের বিএনপির হাইকমান্ড থেকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থী মনোনয়নের যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

তবে একটি সূত্র জানায়, মিত্ররা অনেক আসন চাইলেও বিএনপি তা দিতে পারবে না। কারণ এবার বিএনপির নিজেদের প্রার্থী অনেক। মিত্ররা বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত আসন চাইলে নাও পেতে পারেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ হওয়ারও আশঙ্কা দেখছেন কেউ কেউ।

উল্লেখ্য, ১২ দলীয় জোটে রয়েছে- মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাফর), শামসুদ্দিন পারভেজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী), — ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাস্টিস পাটি (বাজাপা), সৈয়দ এহসানুল হুদারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় দল, কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ এলডিপি, লায়ন ফারুক রহমানের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লেবার পার্টি, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, আবুল কাসেমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি ও আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড লিবারেল পার্টি।