কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
এবারের আলিম পরীক্ষায় ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার পাসের হার ৭১ শতাংশ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে পাশ করেছে ১৪১ জন। পাসের হার ৭০.৮৫ ভাগ ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাধারণ বিভাগ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১২৭ জন। আর বিজ্ঞান বিভাগে ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৪ জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে পাঁচজন শিক্ষার্থী । প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য অনুসারে গতবছর (২০২৪) আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো ২৩৭ জন। এর মধ্যে পাশ করেছিলো ২১১ জন। এর আগের বছরে (২০২৩) আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো ৩১৫ জন। এর মধ্যে পাশ করেছিলো ২০৬ জন। পাশের হার ছিলো ৬৫ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আলিম পরীক্ষায় এবারও এ মাদরাসার ৫৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। গতবছর এই সংখ্যা ২৬ হলেও আগের বছর সংখ্যাটি ছিলো ১০৯। ফলে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে পুরনো বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে ১৯ জন বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকে ঋদ্ধ এই প্রতিষ্ঠান। যদিও শিক্ষক সংকট ও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিকে ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন মাদরাসা কর্তপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ ড. মো. দিদার চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকট ও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির উচ্চহারই ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এখন শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনাই আমাদের বড় লক্ষ্য। শিক্ষক সংকটের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল করতে না পারার কারণ হলো সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসায় ৫৬টি পদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ২১ জন। চারটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু থাকলেও অনার্সের পাঠদানের জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র দু'জন। ফলে সব ক্লাসে সবসময় যেমন শিক্ষক দেওয়া যাচ্ছে না, তেমনি শিক্ষক সংকটের অজুহাতে শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত ক্লাসে আসছে না।
এছাড়া পুরনো অবকাঠামো ও ছাত্রাবাসে অপর্যাপ্ত সিটের কারণে সিংহভাগ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধার বাইরে থাকায় শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতির হার বাড়ানো যাচ্ছে না। সরকারের সহযোগিতায় সংকটগুলো কাটিয়ে উঠলে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রমে গতি সঞ্চার হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।