সিলেটে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিলেন মির্জা ফখরুল

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার : 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট জেলার ৬টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার (১৯ অনুষ্ঠিত) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

দলীয় একটি সূত্র কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছে, আজ (রবিবার) ১৭ জন মনোয়ন প্রত্যাশী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। 

তবে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির আজ সাক্ষাৎকার দেননি। ঢাকায় যাননি সিলেট-২ আসনে মনোয়ন চাওয়া হুমায়নি কবিরও। 

বৈঠকে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর সাংগঠনিক অবস্থা, ভোটার সংযোগ, জনপ্রিয়তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

জানা গেছে, বিএনপি এবার প্রার্থী বাছাইয়ে তথ্যভিত্তিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। মাঠে সক্রিয় নেতাদের পাশাপাশি প্রবাসী, যুবনেতা ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরাও যাচাইয়ের আওতায় আছেন।

এছাড়া বৈঠকে বিশ্বনাথসহ অন্য কোথাও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাতে সংঘাত-সংঘর্ষ না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, প্রতিটি আসনে কেবল একজন প্রার্থীকেই চূড়ান্ত মনোনীত করা হবে। তালিকায় রাখা হবে আরও দুজনের নাম। মনোনীত প্রার্থীর যে কোনো সমস্যায় পরবর্তী দুটি নাম থেকে একজনকে সুযোগ দেওয়া হবে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ার পরও বঞ্চিতদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, এবার বরাবরের মতো প্রার্থীর সাক্ষাৎকার বা তদবির নয়, নিজস্ব আমলনামার তথ্য ও ডিজিটাল পর্যক্ষেণে প্রাপ্ত তথ্যই মনোনয়নে প্রাধান্য পাবে। সূত্রমতে, বিএনপির এই ডেটাবেজে মূল ৫টি যোগ্যতা এবং ৫টি অযোগ্যতার অপশন রাখা হয়েছে। ওই ঘরগুলো পূরণ করলে ডেটাবেজসংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় র‌্যাংকিং দেবে। তা সরবরাহ করা হবে মনোনয়ন নির্ধারণ কমিটিকে। কিছু বিশেষ কারণ ছাড়া এই র‌্যাংকিংকেই প্রধান্য দেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, প্রত্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা, পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও ত্যাগ বিবেচনা করা হচ্ছে।