কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) কবির আহামদ সিলেটের সব উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) নগরভবনে আয়োজিত ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান প্রকল্প বিষয়ক পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তাগিদ দেন।
কবির আহামদ বলেন, আমরা সিলেটবাসীর কোনো ভোগান্তি চাই না। তাই যথাযথ মান ঠিক রেখে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পসহ চলমান সব প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধান (যুগ্মসচিব) মো. হায়দর আলী ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশিক নূরের পরিচালনায় সভায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত অধিপ্তরসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান কবির আহামদ সিলেটের উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করে বলেন, আমরা ১০টি সিটি কর্পোরেশন ভিজিট করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সিলেট সবগুলো নগরের চেয়ে পরিচ্ছন্ন। আমরা এক্ষেত্রে অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে সিলেটকে পাইওনিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করব।
সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির ওপর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন নিজস্ব আয় বৃদ্ধি। এক্ষেত্রে প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশনের অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 
সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, মানুষ সিলেট নগরীকে একটি স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে দেখতে চায়। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই কাজ করছি। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক বাতির উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। 
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিটি কর্পোরেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা নতুন কিছু আইডিয়া নিয়ে এই বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার চেষ্টা করছি। হোল্ডিংগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে আমরা একটা নীতিমালা করছি, যেটি শেষ পর্যায়ে আছে। এই মুহূর্তে আমরা চাহিদার অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করতে পারছি। চাহিদা আরও বাড়ছে। আমাদেরকে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার কার্যক্রমে আরও গতি আনতে হেভি ভ্যাহিকেলের প্রয়োজন বলে তিনি জানান।    
      
সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, সিলেটে-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে কাজ করছি। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পার্কিং স্পেস না থাকা, হাসপাতালে জলাবদ্ধতা, নগরীর যানজট সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।    সভার আগে ও পরে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) কবির আহামদ সিলেটের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
 
.png) 
                     
                     
                     
                         
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    