সিলেটের ১৯ আসনে ‘নির্বাচনি অপরাধ’র বিচারক যারা

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনিয়ম অনুসন্ধান এবং নির্বাচনি অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’ গঠন করেছে কমিশন।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব মোহাম্মদ দিদার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কমিটিগুলো প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিলেটের ১৯ আসনে বিচারিক কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচাকরা হলেন-

সিলেট-১ আসনে সিলেটের সিনিয়র সিভিল জজ মো. রাকিবুল হাসান রকি, সিলেট-২ আসনে সিলেট যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ মো. খালেদ মিয়া, সিলেট-৩ আসনে সিলেটের সিনিয়র সিভিল জজ মরিয়ম আক্তার নিপা, সিলেট-৪ আসনে সুনামগঞ্জ যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ শারমিন খানম নিলা, সিলেট-৫ আসনে সিলেট যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ জহিরুল আলম এবং সিলেট-৬ আসনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ) নিশাত জাহান চৌধুরী। 

সুনামগঞ্জ-১ আসনে সিলেট যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুনামগঞ্জ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ জগলুল হক, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সুনামগঞ্জের সিভিল জজ আলিম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সিলেট যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে সিলেটের সিভিল জজ মো. ইমরান হোসেন। 

মৌলভীবাজার-১ আসনে মৌলভীবাজার যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ আসনে সিলেট যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ সাইফুর রহমান, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মৌলভীবাজার যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ নওরিন মাহবুবা এবং মৌলভীবাজার-৪ আসনে মৌলভীবাজার সিভিল জজ জয়নাল আবেদিন আল-মারুফ। 

হবিগঞ্জ-১ আসনে হবিগঞ্জের সিভিল জজ সায়দুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ আসনে সিলেটের সিভিল জজ মো. মেহেদী হাসান সুমন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে সিলেটের সিভিল জজ মো. জামাল উদ্দিন এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে সিলেটের সিভিল জজ মো. রবিউল হাসান।

ইসি জানিয়েছে- আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে  এ কমিটিগুলো গঠিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই ৩০০ কমিটিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির কর্মকর্তারা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই নিজ দপ্তর হতে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন এবং নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন।

দায়িত্বপ্রাপ্তরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।