কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ২ জন। দুর্ঘটনাগুলো বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নসরতপুরে, বিকেলে সিলেট-ঢাকা পুরাতন মহাসড়ককের সুরমা চা বাগানের আমতলি ও মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা মনতলা সড়কে ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নসরতপুর এলাকায় মাইক্রোবাস চাপায় ইয়াহিয়া মিয়া (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ইয়াহিয়া নসরতপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে ও নসরতপুর হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
তার পরিবার জানায়- বৃৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসা থেকে বের হয়ে মা এবং ছোট বোনের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল ইয়াহিয়া। এ সময় হবিগঞ্জ থেকে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাস দ্রুতগতিতে এসে ইয়াহিয়াকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ইয়াহিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার মাধবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আরফান মিয়া (২৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলে থাকা অপর ২ আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত আরফান উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ভাবানীপুর গ্রামের রহিম বাদশার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ককের সুরমা চা বাগানের আমতলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে আরফান মিয়া ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যান। ফেরার পথে সুরমা চা বাগানের আমতলি এলাকায় পৌঁছলে চুনারুঘাটগামী একটি মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরফান মিয়ার মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা ২ আরোহী গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন।
একই দিন (বৃহস্পতিবার) বিকালে মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা মনতলা সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী আব্দুল মান্নান আবু মিয়ার (৭০) বুকে সড়কের পাশে থাকা বাঁশ ঢুকে করুন মৃত্যু হয়। তিনি হরিণখোলা গ্রামের মনতাজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান- তিনি বিকেলে মনতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্থার পাশে থাকা একটি বাঁশ তার বুকে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।