কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
দেশব্যাপী সপ্তমবারের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনারসহ ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এ বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজারের বেশি লোকবল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোটারদের ছবি তোলার কাজ শুরু হবে এবং এটি চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এর ফলে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জনের সঙ্গে আরও কয়েক লাখ যোগ হবে। তিনি আরও জানান, দ্বৈত ভোটার বাদ দেওয়া এবং মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে অপসারণ করে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির জন্যই এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে ছয়বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ ২০২২-২০২৩ সালে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমও ২০২২ সালে শুরু হওয়া তিন বছরের তথ্য সংগ্রহের ধারাবাহিকতার অংশ।
সিইসি এ, এম, এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরো নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে। হালনাগাদ শেষে মার্চে প্রায় ১৮ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে একটি স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে :
ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি।
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে :
ক) নিজের নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
খ) জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।