কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
মাঘ মাসের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে শীত তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারেনি। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে, তবে শীতের প্রকৃত আমেজ অনুপস্থিত। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশায় ঢেকে থাকায় সূর্যের উপস্থিতি কম রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে- শনিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে কুয়াশার ঘনত্ব কমতে পারে, তবে তাপমাত্রা আরও কমে বাড়বে শীতের প্রকোপ।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায় হালকা শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল তুলনামূলক উষ্ণ রয়েছে।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাঘাবাড়িতে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তবে শীতের অঞ্চল হিসেবে খ্যাত রংপুর বিভাগের শুধুমাত্র পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাকি জেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
এ দিকে ঢাকা বিভাগে শুধুমাত্র টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা ১০ এর ঘরে। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে- যদি কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, আগামীকাল (শনিবার) থেকে দেশের তাপমাত্রা কমে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে। এই অবস্থাটি আগামী চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।