- সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকর্মীরা বের হন রাতের আঁধারে
- সন্ত্রস্ত অবস্থায় রিকশাচালক-পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ক্ষমতাকালে ১৫ বছর সিলেটে নৈরাজ্য চালিয়ে এখন নেই ছাত্রলীগ। চব্বিশের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পালিয়ে গেছেন সংগঠনটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। তবু নিষিদ্ধ এ সংগঠনের কতিপয় কর্মী সিলেটে চোরাগোপ্তা কর্মসূচি চালাচ্ছেন। বের হন রাতের আধাঁরে, মুখে মাস্ক বা মুখোশ পরে। আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালাতে লিফলেট বিতরণ করেন রিকশাচালক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঝে।
তবে লিফলেট বিতরণকালে সন্ত্রস্ত হয়ে ঘন ঘন তাদের তাকাতে দেখা যায় এদিক-ওদিক, পেছন দিক।
চব্বিশের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দিন ৫ আগস্ট সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগি সব সংগঠনের নেতাকর্মী গাঁ-ঢাকা দেন। অনেকেই পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে, আবার কেউ কেউ দেশে থাকলেও জনতার রোষাণল কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে রয়েছেন আত্মগোপনে।
এ অবস্থায় গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে পালন করার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির আওতায় রয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল। এদিন সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হরতাল পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ।
দলটির নির্দেশ পালনে সিলেটে রাতের আঁধারে মাঝে-মধ্যে বের হন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ সহযোগি সংগঠনের কতিপয় কর্মী। কয়েক মিনিট রাস্তায় থেকে দু-চারজন রিকশা-ভ্যান চালক কিংবা পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে লিফলেট দিয়ে ফের উধাও হয়ে যান। সিলেটের বিভিন্ন স্থানের এমন কিছু ছবি এবং ভিডিও সম্প্রতি একাধিক দিন আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করতে দেখা গেছে। প্রকাশ করা হয় ‘Bangladesh Students' League's’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকেও।
ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়- লিফলেট বিতরণকারীরা থাকেন বেশ সন্ত্রস্ত। ঘন ঘন তাকান এদিক-ওদিক, পেছন দিক। যাতে পুলিশ বা স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিলে দেখতে পান। কয়েকটি লিফলেট বিতরণ করে মুহুর্তেই আবার মিশে যান আধাঁরের গাঁয়ে।
অবৈধ এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কওমি কণ্ঠকে বলেন- পুলিশ এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড দমন করতে মাঠে কাজ করছে। এমন কাজ যারাই করছে পরবর্তীতে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। আশা করি এমন অপরাধ আর করার সাহস পাবে না দুষ্কৃতকারীরা।