মুসলিম উম্মাহের মাঝে আবার ফিরে এসেছে রাহমাত, বারকাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। ইবাদাতের বসন্তকাল বলা হয় এ মাসকে। রাহমাত-বারাকাতে ভরপুর এ মাস কাটানোর একটি সুন্দর রুটিন দিয়েছেন জামিয়া মাদানিয়া কাজিরবাজার-এর সিনিয়র মুহাদ্দিস বিগদ্ধ আলেম শাহ মমশাদ আহমদ।
তিনি বলেন- স্মরণ রাখার জন্য কাগজে লিখে রাখতে পারেন কাজগুলো। কী কী লিখতে হবে?
১) কারো গিবত করবো না।
২) অশালীন শব্দ ব্যবহার করবো না।
৩) কাউকে নিয়ে ট্রল করবো না।
৪) জীবনে যত মানুষ আমাকে কষ্ট দিয়েছেন- কারও প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ ও বিদ্বেষ নেই।
৫) ফজরের নামাজ আদায় করে সকাল বেলার জিকির-আযকার ও তেলাওয়াত।
৬) ইশরাকের নামাজ আদায় করে ১০টা পর্যন্ত বিশ্রাম।
৭) দিনের বেলা (যাদের কোনো কাজ নেই) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা একটানা তেলাওয়াত।
৮) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ট পর্যন্ত কুরআন অধ্যয়ন।
৯) দুপুর সাড়ে ১২টার পর গোসলসহ জোহর নামাজের প্রস্তুতি।
১০) ইতমেনানের সাথে সুন্নাতসহ জোহরের নামাজ আদায়।
১১) বিকাল সাড়ে ৩টা ৩০ পর্যন্ত বিশ্রাম। অথবা ইসলামি নাশিদ ও তেলাওয়াত শ্রবণ কিংবা ইসলামি বই অধ্যয়ন।
১২) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে কুরআন তেলাওত করুন।
১৩) বাদ আসর নিজ নিজ গ্রাম-পাড়ার মসজিদে হাফিজ সাহেবদের তেলাওয়াত শুনুন।
১৪) পরে ইফতার পর্যন্ত দুরুদ, ইস্তেগফার ও জিকির-আযকার করুন।
১৫) ইফতারে সুন্নাত হিসিবে খাজুর রাখার চেষ্টা করুন।
১৬) জামাতের সাথে মাগরিবের নামাজ পরবর্তী সুন্নাত-নফলসহ আদায় করুন।
১৭) নামাজ শেষে সুরা ওয়াকেয়া তেলাওয়াত করুন।
১৮) ইফতার অসম্পুর্ণ থাকলে সম্পূর্ণ করুন ও তারাবিহের আগ পর্যন্ত খানিক বিশ্রাম নিন।
১৯) এশার নামাজের পনের মিনিট পূর্বে প্রস্তুতি শুরু করুন।
২০) এশা ও তারাবিহ মসজিদে জামাআতে আদায় করুন।
২১) পরে সুরা মুলক তেলাওয়াত করুন।
২২) রাত ১১টা পর্যন্ত পরিবারকে সময় দিন, আত্মীয়-স্বজনের খবর নিন। পাশাপাশি পিতামাতা উস্তাদদের সান্নিধ্য লাভ করুন।
২৩) রাত ১২টা অবধি তেলাওয়াত করুন।
২৪) রাত আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্রাম নিন।
২৫) পরে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ুন, তেলাওয়াত-যিকির-আযকার করুন।
২৬) রমজানে সুগন্ধি মনে প্রভাব ফেলে। যথাসাধ্য উন্নত আতর ব্যবহার করুন।
২৭) মেসওয়াকের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২৮) জর্দা পান সুপারি ত্যাগের সুবর্ণ সুযোগ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। সিগারেটসেবীদের জন্য এ সুযোগ গ্রহণের উত্তম সময়।
২৯) সামান্য হলেও প্রত্যেহ সাদাকা করুন।
৩০) গরিব-অসহায় মানুষের খবর নিন, সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা করুন।
৩১) সবার সাথে হাস্যমুখে কথা বলুন।
৩২) সম্ভব হলে পাড়া-প্রতিবেশি ও অসহায় মানুষকে নিয়ে ইফতার করুন।
আল্লাহ আমাদের মাহে রমজানের বারাকাত লাভের তাওফিক দিন। আমিন।