হাসিনার উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

যেগুলো আছে সেগুলো সরাতে নির্দেশ

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সে প্রচার না করতে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে এসব মাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্য অতি দ্রুত সরাতেও বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আবেদন ট্রাইব্যুনাল শুনেছেন এবং মঞ্জুর করেছেন৷ বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন যে, যেসব হেটস্পিচ (বিদ্বেষমূলক বক্তব্য) এখনো আছে, সেগুলো যেন অতি দ্রুত রিমুভ (সরানো) হয়।’

ভবিষ্যতে যেন শেখ হাসিনার কোনো ধরনের হেটস্পিচ সম্প্রচার বা প্রকাশ না হয় সে জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছেন৷ ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে মামলার বিচারের সময় সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনালে আনা যাবে না। তাঁরা ভয়ে আসবেন না।

গাজী মোনাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আবেদনটি করেছিলাম একজন আসামির হেটস্পিচের বিষয়ে, তিনি হলেন শেখ হাসিনা। কারণ এখন পর্যন্ত শুধু ওনার হেটস্পিচগুলো আমাদের কাছে আছে, যেগুলোর প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করে।’

ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের আদেশটি পৌঁছানো হবে বলে প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান। এরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে হত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে।


মূল প্রতিবেদন : প্রথম আলো