কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করে দ্রুততম সময়ে সুপারনিউমারারি পদোন্নতির দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন দিনের কর্মবিরতিতে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ৮ মার্চ (শনিবার) থেকে ১০ মার্চ (সোমবার) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করবেন তারা।
তবে সিলেটের চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে নেই বলে জানা গেছে। ফলে রোগীরাও পাচ্ছেন সেবা।
বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ।
তারা বলেন- জানতে পেরেছি অন্যান্য স্থানে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যের শিকার এটি ঠিক। যে কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। তবে সিলেটে আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের ডাকে পাঁচটি দাবি ২৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে প্রথম কর্মবিরতি পালন করেন সারা দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। পরে শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফের কর্মবিরতি-কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঁচ দাবি হলো-
১. বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সময়ে যারা বিভিন্ন কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত চিকিৎসকদের ভূতাপেক্ষিকভাবে পদোন্নতি দিতে হবে।
২. পদোন্নতি প্রার্থীর সংখ্যা এত বেশি যে শুধুমাত্র পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে বর্তমান সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে নানা বিষয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক নতুন পদ সৃষ্টি করা।
৩. সম্ভাব্য নতুন পদের জন্য বর্তমানে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে অধিক সংখ্যায় ভূতাপেক্ষভাবে পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি/সুপারনিউমারারি/ইনসিটু পদোন্নতি দিয়ে বিদ্যমান জট কমিয়ে জনগণের স্বাস্থ্য সেবার পথ সুগম করা।
৪. সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সব বিষয়ে দ্রুত ও জরুরি ভিত্তিতে সব বিষয়ে সহকারী/সহযোগী/ অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষভাবে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি ও প্রয়োজনে ইনসিটু পদোন্নতি।
৫. যেহেতু প্রতি বছর অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অবসরে যান এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে মেডিকেল শিক্ষার্থী, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পায়, সেহেতু প্রতি বছর অন্তত দুইবার পদোন্নতির নিয়ম চালু করা। আন্ত ও অন্তঃক্যাডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে একটি যুগোপযোগী পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন করা।