কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
কওমি মাদরাসাভিত্তিক বৃহৎ শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ২৬ রমজান দুপুর ১২টায় বোর্ড ভবনের মিলনায়তনে বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন।
এসময় বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়- গড় পাসের হার ৮০.৩৮%। মুমতায (স্টার মার্ক) ৫৫,১৪২ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (প্রথম বিভাগ) ৫৫,০৩৮ জন। জায়্যিদ (২য় বিভাগ) ৬৪,৬৩২ জন। মাকবুল (৩য় বিভাগ) ৯১,৩৬১ জন। মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ২,৬৬,১৭৩ জন।
পরীক্ষার ফলাফলের যাবতীয় তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.wifaqresult.com)-এ পাওয়া যাবে। এ সময় শুধু ২০২৫ সালের নতুন ফলাফলই প্রদর্শন করা হবে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ফলাফল এই ওয়েবসাইটে শাওয়াল মাস থেকে দেখা যাবে।’
মেধাতালিকায় সেরা হয়েছে যারা :
ফযীলত (স্নাতক) ছাত্র : তাদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর, সূত্রাপুর-এর খালেদ হাছান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর-এর মুহাম্মাদ মাছরুর হাসান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৮। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- ঢাকা জেলার জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর-এর মুহাম্মাদ মু'তাসিম বিল্লাহ এবং ময়মনসিংহ জেলার দারুল উলুম নিজামিয়া মধ্যবাড়েরা, সদর-এর মাহমুদ বিন হাসান সানি। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৬।
ফযীলত (স্নাতক) ছাত্রী : ছাত্রীদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার ফাতিমাতুযযাহরা রা. মহিলা মাদরাসা, পশ্চিম রামপুরা-এর আসমা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৪। ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা, উত্তরা-এর তাহসীনা সিদ্দীকা মারিয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬২। ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) মহিলা মাদরাসা, আমলিগোলা, লালবাগ-এর তাজদীদা হক লুবাবা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৩।
সানাবিয়া উলিয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) ছাত্র : ছাত্রদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, দারুস সালাম-এর মুহা. নেয়ামত উল্লাহ রিদওয়ান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়াতুন নূর আল ইসলামিয়া, দাসেরগাঁও (নূরবাগ), বন্দর-এর মিছবাহ উদ্দিন এবং ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর, সূত্রাপুর-এর মোঃ আরিফুল ইসলাম সাহেদ। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-নারায়ণগঞ্জ জেলার আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগর, সিদ্ধিরগঞ্জ-এর আব্দুল্লাহ আশরাফ মাহমুদ এবং ঢাকা জেলার জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর-এর রাইয়ান সিকদার। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩।
সানাবিয়া উলিয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) ছাত্র : ছাত্রীদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিআ উম্মে মুআয তালীমুন নিসা, ভূইগড়, ফতুল্লা-এর হোসনা আক্তার এবং বগুড়া জেলার খাতুনে জান্নাত বালিকা কওমী মাদরাসা, সদর-এর মোছা: ফিমা মোস্তারিন। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৩। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- ঢাকা জেলার ফাতিমাতুযযাহরা রা. মহিলা মাদরাসা, পশ্চিম রামপুরা-এর আয়শা সিদ্দিকা এবং ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসা-এর সারা বিনতে হারুন। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫০। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- ঢাকা জেলার ফাতিমাতুযযাহরা রা. মহিলা মাদরাসা, পশ্চিম রামপুরা-এর সুমাইয়া তুস সাদিয়া এবং ঢাকা জেলার জামিয়া মিল্লিয়া মাদানিয়া আরাবিয়া (মিরপুর আজমা মহিলা মাদরাসা)-এর ফাইজা ফাতিমা। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৬।
সানাবিয়া (মাধ্যমিক) ছাত্র : ছাত্রদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মারকাি কোরআন আল ইসলামী, দারুস সালাম-এর লাবীব মাসরুর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। ২য় স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ-এর মুহাম্মাদ আল-আমীন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৭। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে চারজন। যথাক্রমে-নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ-এর মুহাম্মাদ (আউয়াল), কুমিল্লা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম বরুড়া-এর আবু সুফিয়ান, ঢাকা জেলার জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটারা, চকবাজার-এর মোঃ সুলাইমান হুসাইন ও ঢাকা জেলার মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, দারুস সালাম-এর ওমর ফারুক। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৪
মুতাওয়াসসিতা (নিম্ন মাধ্যমিক) ছাত্র : ছাত্রদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, দক্ষিণকান্দী, শিবচর-এর আব্দুল্লাহ মুবাশ্বির এবং মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, দক্ষিণকান্দী, শিবচর-এর মো: ইমদাদুল্লাহ। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-এর মোহাম্মদ আমানুল্লাহ কাফী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। যথাক্রমে- মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, দক্ষিণকান্দী, শিবচর-এর মোঃ মানযিল ইসলাম এবং মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, দক্ষিণকান্দী, শিবচর-এর মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
মুতাওয়াসসিতা (নিম্ন মাধ্যমিক) ছাত্র : ছাত্রীদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩জন। যথাক্রমে- ময়মনসিংহ জেলার মাদরাসা খাদীজাতুল কোবরা (রা.), মাসকান্দা, নতুন বাজার-এর মারইয়াম আব্দুল্লাহ, ময়মনসিংহ জেলার দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা, মাসকান্দা-এর যুহায়রা তাসনীম ও নেত্রকোনা জেলার জামিয়া আরাবিয়া হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদরাসা, নোয়াগাঁও, পূর্বধলা-এর আদিবা সুলতানা তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯। ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাহাদু তালিমিল বানাত, কুড়াতলী, খিলক্ষেত-এর সাদিয়া বিনতে ফোরকান তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮। ৩য় স্থান অধিকার করেছে নেত্রকোনা জেলার ফাতিমাতুয যাহরা রা. মহিলা মাদরাসা ও আব্দুল হামিদ এতিমখানা, নিশ্চিন্তপুর, সদর-এর মোছা: আতিয়া মুহসিনা ছিফাত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭।
ইবতিদাইয়া (প্রাইমারি) ছাত্র : ছাত্রদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী-এর মো: মিরাজ হোসেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৪। ২য় স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া, জালকুড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জ-এর মুহাম্মাদ রাইহান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৩। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। যথাক্রমে- কিশোরগঞ্জ জেলার জামিয়া নূরানীয়া, তারাপাশা (বয়লা)-এর কে. এম. সিফাত আহসান এবং কুষ্টিয়া জেলার ইদ্রিস আলী বিশ্বাস ইসলামিয়া মাদরাসা, দৌলতপুর-এর মুহা: ছাদিকুজ্জামান। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৯২। ইবতিদাইয়া (প্রাইমারি) ছাত্রীদের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। যথাক্রমে- একা জেলার কাসিমুল উলুম শরীফিয়া বালিকা মাদরাসা, ইসলামপুর, ধামরাই-এর সুমাইয়া আক্তার এবং ঢাকা জেলার মাদরাসা আয়েশা সিদ্দীকা (রা.), ঢালকানগর-এর শেখ আহনাফ রাদিয়া নূহা। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৯। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- হবিগঞ্জ জেলার আল জামেয়াতুত্বায়্যিবা (কওমী মহিলা মাদরাসা), আদমখানী, বানিয়াচং-এর নৌরিন চৌধুরী মায়িশা এবং গাজীপুর জেলার খাদেমুল কুরআন বালিকা মাদরাসা, বনমালা রোড, টঙ্গী-এর জান্নাত। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৮। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে- গাজীপুর জেলার কেওয়া দারুল হিকমাহ কওমী মহিলা মাদরাসা, পূর্বখণ্ড, শ্রীপুর-এর আদিবা খাঁন এবং ময়মনসিংহ জেলার রাবেয়া বসরী মহিলা মাদরাসা, মধ্যহিস্যা, মুক্তাগাছা-এর খাতুনে জান্নাত অনন্যা। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৭।
তাহফিজুল কুরআন : ছাত্রদের ১২৭টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ১ম থেকে ৩য় স্থান পর্যন্ত মেধা অর্জনকারী পরীক্ষার্থী ৩২২৩ জন। তাহফিজুল কুরআন ছাত্রীদের ১২টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ১ম থেকে ৩য় স্থান পর্যন্ত মেধা অর্জনকারী পরীক্ষার্থী ১২৪ জন।
ইলমুত তাজবীদ ওয়াল কিরাআত : ইলমুত তাজবীদ ওয়াল কিরাআত ছাত্র-ছাত্রীদের ৫টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ১ম থেকে ৩য় স্থান পর্যন্ত মেধা অর্জনকারী পরীক্ষার্থী ১৭ জন।
ফলাফল দেখবেন যেভাবে :
বেফাক জানায়, ‘প্রাথমিক ফলাফলের মুদ্রিত কপি এ বছর সারাদেশের প্রতি মাদরাসায় ব্যাপকভাবে প্রেরণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা হার্ডকপি পেতে আগ্রহী, তারা বেফাকের পরীক্ষা বিভাগ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। চাহিদা পেশ করলে পরীক্ষা বিভাগ থেকে সুবিধাজনক সময়ে সরবরাহও করা হবে।’
এদারা, বি, দ্বীনি, ও ইভোলার বেফাকভুক্ত মাদরাসাসমূহ তাদের মাদরাসাওয়ারি ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল দেখতে ইলহাকের পরে স্পেস দিয়ে বিজয় কিবোর্ডে এদারা, বি, দ্বীনি ও ইভোলা লিখুন।
এছাড়া, ব্যক্তিগত ফলাফল দেখার জন্য ইন্টার ব্রাউজার থেকে wifaqedu.com সাইটে প্রবেশ করে সন মারহালা ও রোল নম্বর দিয়ে আপনার রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
মাদরাসা ওয়ারি ফলাফল দেখার জন্য ইন্টার ব্রাউজার থেকে wifaqedu.com এই ঠিকানায় প্রবেশ করে সন মারহালা ইলহাক নম্বর দেওয়ার পর বেফাকে দেওয়া আপনার মাদরাসার ফোন নম্বরের শেষের দুইটি নম্বর দিয়ে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৮ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। শুরু হয়েছিল ০৩ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ থেকে। এ বছর সর্বমোট ৪৯টি জোনের আওতায় শুরু হয় পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৫ মারহালার/জামাতের (স্তর/ক্লাস) শিক্ষার্থীরা। স্তরগুলো হলো: ইবতিদাইয়্যাহ (তাইসীর), মুতাওয়াসসিতাহ (নাহবেমীর), সানাবিয়া (কাফিয়া), সানাবিয়া উলিয়া (শরহে বেকায়া) ও ফযীলত (মিশকাত)।
পরীক্ষা সারাদেশের ২২৭১টি মারকাজে হিফয-কিরাআতসহ ৭টি মারহালায় ৩,৪৯,৭৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে ছাত্র ১,৪৭,২১২ এবং ছাত্রী ২,০২৫,৬৪। সারাদেশে বেফাকভুক্ত প্রায় ২৯ হাজার মাদরাসার মধ্যে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭,৩৬২টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।