কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
১৬ বছরে স্বৈরশাসকমুক্ত কোনো ঈদ পালন করেছেন দেশবাসী। এতে যোগ হয়েছে আলাদা আনন্দ। তবে এবারের ঈদে রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত খুশির মিছিলে মূর্তি রাখা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। অনেকেই সমালোচনা করছে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে তাঁর পরিকল্পনাতেই এমন বিতর্কিত কাণ্ডের জন্ম দেওয়া হয়েছে বলে বেশিরভাগ মানুষের মন্তব্য।
ঈদের দিন (সোমবার) নামাজ আদায় শেষে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। আয়োজকরা বলছেন- মিছিলটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার সুলতানি-মুঘল আমলের নানা ঐতিহ্যকে। আনন্দমিছিলে গাধার পিঠে বসে থাকা লোককথার চরিত্র নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি পাপেট বা প্রতিকৃতি রাখা হয়।
কিন্তু মূর্তি নিয়ে মিছিলের ছবি ভার্চুয়াল মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য শুরু করেন।
কেউ কেউ গাধার পিঠে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বসে থাকার সাথে ঈদের সংস্কৃতির মিল কোথায়- তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
পাপেটটিতে দার্শনিক নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে উপস্থাপন করা হলেও ফেসবুক পোস্টে অনেককে মন্তব্য করেছেন, ‘এটি দেখতে অনেকটা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সমন্বিত চেহারার মতো।’
তবে বেশিরভাগ মানুষেরই মন্তব্য- ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ঈদ মিছিলের নামে শিরকি কর্মকাণ্ড কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে অনেকে আবার সমালোচনা করছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদেরও।
দেশের প্রখ্যাত মুফাসসির মাওলানা হাবিবুর রহমান মিসবাহ তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন- ‘ভাই আসিফ মাহমূদ! সুলতানী আমলের ঈদ উদযাপনে বিকৃতি ঘটিয়েছো। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠান হলেই ভাল্লুক বা/ন্দ/র হাজির করতে হবে কেন? এটা তোমার আইডিয়া নাকি ব/দ/মা/স ফারুকির শ/য়/তা/নী! সুলতানী আমলের ঈদ মানে কী আসলে? সুলতান শব্দটা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে পরিচিত। অতএব আমল যদি সুলতানীই হয়ে থাকে তবে তার প্রতিকৃতি তৈরিতে আলেমদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এখন যেটা করেছো সেটা বন্য পশুর আস্ফালন হয়েছে। প্রকৃত সুলতানী আমলের অনুসরণ হলে ঠিকই সুলতান সুলতান ফিল আসতো। আর বারবার ইসলামপন্থাকে এভাবে ছোট করো না। এদেশে যারাই ইসলামপন্থাকে খাটো করেছে তাদেরই মোটা দাগে মাশুল দিতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে রাষ্ট্রের বা ধর্ম উপদেষ্টার সুস্পষ্ট বক্তব্য এবং আগামীতে যাতে এমন বিতকির্ত কাণ্ডের জন্ম না হয় এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন দেশবাসী।