কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩টি ভিন্ন পদে ৩৬৩জন জনবল নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যাকে কেন্দ্র করে কওমি অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা বিল্লাল বিন কাশেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ব্যাখ্যা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে- উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেকশন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, প্রতিটি পদে মাদ্রাসা শিক্ষিত, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। সরকারের স্বীকৃতি অনুযায়ী, দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি মাস্টার্স (সমমান) হিসেবে গণ্য।
তবে, কওমি ধারার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে এসএসসি, এইচএসসি বা স্নাতক পর্যায়ের কোনো স্বীকৃত সনদ না থাকায়, সার্বিক বিবেচনায় উচ্চ ও নিম্ন উভয় পদে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রণয়ন করা হয়। এ ধরনের উদ্যোগ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইতিহাসে এই প্রথম। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে সকল স্তরের কওমি শিক্ষিতদের জন্য অংশগ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে।
তথাপি- জনমনে উদ্ভূত বিভ্রান্তি ও বিভিন্ন মহলের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আপাতত স্থগিত রাখা হবে। পরবর্তীতে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি পুনরায় প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।