কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের কৃতিকন্তান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করেছেন।
রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং গত ২১ এপ্রিল থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মরহুমের জানাজার আয়োজন তিন ধাপে করা হয়েছে। প্রথম জানাজা রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি তাক্বওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে। আর তৃতীয় জানাজা সোমবার জোহর বাদ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।
সিলেটের এই কৃতিসন্তান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী প্রায় ৪৫ বছর আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
এর মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক মামলা, ইত্তেফাক, একুশে টিভি ও ব্যাংক-বীমাসহ বহু মামলার আইনজীবী ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে। পরবর্তীসময়ে জামায়াত থেকেও পদত্যাগ করেন। জামায়াত থেকে বেরিয়ে যোগ দেন এবি পার্টিতে। পরে সেখান থেকেও পদত্যাগ করেন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা পরিচালনা করছেন।