‘ধর্মঘট’র পথ থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনকারীরা, ডিসি ডাকছেন সভা

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার : 

সিলেটের কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বালু-পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ ও ২৯ জুন (শনি ও রবিবার) এই দুই দিন (৪৮ ঘণ্টা) সিলেটের পাথর কোয়ারি থেকে লোড-আনলোডের কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে সিলেট জেলায় পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছিলো বালু-পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। কিন্তু জনদুর্ভোগ বিবেচনায় এ কর্মসূচি থেকে সরে এসে সোমবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সিলেটের সদর উপজেলার ধুপাগুল শহীদ মিনারে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোলাগঞ্জে ও পরদিন বুধবার জাফলংয়ে একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পাথর-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সম্বন্নয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ।

এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিলেট জেলা প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাচ্ছে। সোমবার বিকালে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ কওমি কণ্ঠকে বলেন- ‘কোয়ারিসংশ্লিষ্ট নিয়ে আমরা শীঘ্রই বৈঠক করবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘কোয়ারি খোলার বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা তাই বাস্তবায়ন করবো।’

উল্লেখ্য, ১৪ জুন প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) জাফলং পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে অবৈধ পাথরের ব্যবসা ঠেকাতে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দ্রুততার সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে থাকা পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ১৬ জুন থেকে পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। এই অভিযান সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে নিয়মিত চলছে।

রোববারও (২৯ জুন) গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে তৃতীয় দফায় ফের অভিযান চালিয়ে টাস্কফোর্স পাথর ভাঙার ১৮টি যন্ত্রের (ক্রাশার মেশিন) বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর আগে ২৫ ও ১৮ জুন জাফলংয়ে ১৪৪টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।