কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছিল রিকশাচালক এক বাবার আকুতি। আর তাতেই নজর পড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই ছেলেকে সৌদি আরব পাঠানোর বিমানের টিকিট তুলে দিলেন সিলেট বিএনপির নেতারা। আর তাতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, সিলেট মহানগরের রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম প্রতিদিন টাকা জমিয়ে রাখতেন একটি মাটির ব্যংকে। সেই জমানো টাকা দিয়ে সৌদি আরবের ভিসার ব্যবস্থা করেন। কয়েকদিন আগে জানতে পারেন সৌদি আরবে তার ছেলের ভিসা হয়েছে। ভিসা হাতে পাওয়ার পর জানতে পারেন ভিসার মেয়াদ কম। রিকশা চালিয়ে এই টাকা যোগাড় করতে তার বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আর ততদিনে মেয়াদ চলে যাবে ভিসার। তার এই আকুতি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তার এই আকুতি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
তিনি মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপর রফিকুল ইসলামের ছেলের সৌদি আরবের টিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার হাউজিং এস্টেট কয়েস লোদীর কার্যালয়ে রফিকুল ইসলামের হাতে টিকিট তুলে দেন বিএনপি নেতারা।
রফিকুল ইসলাম জানান, আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। অভাবের সংসার। কোনোরকম টাকা জমিয়ে ভিসার ব্যবস্থা করেছিলাম। টিকিটের টাকা এভাবে আসবে কল্পনাও করতে পারিনি। আমি তারেক রহমানের কাছে চির কৃতজ্ঞ। সহযোগিতার জন্য রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকেও ধন্যবাদ জানান।
ফ্লাইটের টিকিট হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।