কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
‘কাঁঠালপাকা গরমে’ পুড়ছে সিলেট। কয়েক দিন টানা বৃষ্টির পর সিলেটের আকাশ রোদ ঝলমল হওয়ায় স্বস্তি বইছিলো সবার মাঝে। কিন্তু গত দুদিনের তীব্র গরমে জনজীবনে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস অবস্থা।
রোববার (২৫ মে) বিকাল ৩টার দিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- সিলেটের তাপমাত্রা ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে উঠেছে।
রোদে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের হলকা, পুড়ছে চামড়া। এ অবস্থায় বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যান চালক বা দিনমজুররা তীব্র গরমে করছেন হাঁসফাঁস।
দেশে সাধারণত মার্চ-জুন মাসে গরম বেশি থাকে। তবে এবার সিলেটে মে থেকেই তাপ ছড়াতে শুরু করেছে সূর্য। ফলে এরই মধ্যে সিলেটে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে।
রোববার বেলা গড়ানোর পর থেকে তীব্র গরমে সিলেটে মানুষের চলাচলও কমে গেছে। বাইরে বেরনো খেটে খাওয়া মানুষরা একটু পর পর পান করছেন পানি, সতেজ রাখতে চেষ্টা করছেন নিজেদের। অনেকেই সড়কের পাশে বিক্রি করা ডাব ও লেবুর শরবত কিনে পান করছেন।
সিলেট মহানগরের তালতলা এলাকায় রিকশা চালাচ্ছিলেন আরশ আলী। তিনি বলেন- “ইলা (এই রকম) গরম দিলে রুজি-রোজগার করা যাইত না। ইলা গরমে রিকশা চালাইলে ভিতর ফাটি যায়। গরম বাড়ার লাগি আগের মত ইনকাম নাই। মেঘ (বৃষ্টি) দিলে বালা লাগত, না হয় বাঁচার উপায় নাই আমরার মতো গরিবদের।”
মহানগরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আফজল মিয়া বলেন, “আজকের গরমে অবস্থা শেষ। রাস্তার গালা (পিচ) যেন গলে যাচ্ছে। এভাবে গরম থাকলে জনজীবনে প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, পুরোপুরি গরমের দিন তো এখনো পড়ে রইলো, তখন কী অবস্থা হবে?