কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর এলাকায় চলছে প্রকাশ্যে পাথর লুট। মাঝে-মধ্যে প্রশাসন অভিযান দিলেও প্রতিদিন শতাধিক নৌকা দিয়ে পাথর খাবলে খাচ্ছে খেকোরা।
লুটপাট ঠেকাতে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফটোগ্রাফাররা সরাসরি বাধা দিলে শনিবার তাঁদের একজন সদস্যকে মারধর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে রোববার সাদাপাথর এলাকায় এক প্রতিবাদ সভায় ব্যবসায়ী, মাঝি, ফটোগ্রাফার ও স্থানীয়রা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লুটকারীদের গ্রেপ্তার না হলে পর্যটনস্পট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন সুমন বলেন, ‘প্রতিদিনই প্রকাশ্য সাদাপাথর লুট হচ্ছে। প্রশাসন দু-একটি অভিযান চালালেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে ফটোগ্রাফাররা সম্মিলিতভাবে গিয়ে লুটপাটে বাধা দেন। এর ফলস্বরূপ শনিবার আমাদের একজন ফটোগ্রাফারকে ওই লুটপাটকারীরা মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, ক্যামেরাসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা রোববার সকালে সাদাপাথরে গিয়েও লুটকারীদের তাড়িয়ে দিয়ে আসছি। যারা নৌকা নিয়ে যেতে পারছে, তারা গেছে। আর যারা পারেনি, তারা নির্দিষ্ট চিহ্ন দিয়ে ডুবিয়ে চলে গেছে। তার মানে তারা আবারও আসবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় না আনা হলে আমরা সবাই সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেব। প্রশাসন চাইলে এই স্পটটি রক্ষা করতে পারে।’
স্থানীয়রা জানান, লুটপাটে বাইরের জেলার লোকজন বেশি জড়িত। নদীপথে আসা পাথর ট্রাকে করে সরাসরি উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে দেশজুড়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি নেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি সাদাপাথরে লুটপাট বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সাদাপাথর লুট বন্ধ করতে আজকেও অভিযান হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।