নরসিংটিলায় দুই প্রবাসী পরিবারের দ্বন্দ্ব, পঞ্চায়েত কমিটির দিপু সম্পর্কে ‘মিথ্যাচার’

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেট মহানগরের বাগবাড়ি নরসিংটিলা এলাকায় জায়গা ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত লেন-দেন নিয়ে দুই প্রবাসীর পরিবারের দ্বন্দ্ব চলছে। দুপক্ষই সিলেটে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরষ্পর দোষারোপ করছেন।

তবে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নরসিংটিলা পঞ্চায়েত কমিটির সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান দিপুকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বলে তার অভিযোগ।

জানা গেছে, সিলেট মহানগরের বাগবাড়ি এলাকার নরসিংটিলায় একটি বাসা নিয়ে দুই প্রবাসী পরিবারের মাঝে টানাটানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বাসার (নরসিংটিলা ৪৭/৪) মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. কামাল আহমদের শ্যালকের বন্ধু আলী আহমদ মুমিন বলেন- হাসনা বেগম ও তার স্বামী গ্রিস প্রবাসী মুহিবুর রহমান কোনো টাকা-পয়সা দেননি। তার কাছে জায়গা বিক্রির কোনো কথাও হয়নি। কামাল আহমদের জায়গা ও বাসা দখল করার জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন হাসনা বেগম। এ অভিযোগ মিথ্যা। হাসনা বেগম বাসাটি বর্তমানে দখল করে আছেন। কামাল আহমদের মানুষজন এ বাসায় যেতে পারছেন না। বাসাটি দখলের জন্য কামাল আহমদ ও তার শ্যালক আওয়লাদ মিয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছন হাসনা বেগম।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে কামাল আহমদের পক্ষের লোকজন অসংগতিপূর্ণ জবাব দেন।

এর আগে ১৯ মে কামাল আহমদের বিরুদ্ধে ওই বাসার ভাড়াটিয়া হাসনা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি নারী দাবি করেন- কামাল আহমদ তাদের কাছে জায়গা বিক্রি করার নামে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রবাস চলে গেছেন। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না, জায়গাও দিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে নরশিংটিলা এলাকায় বিচার-সালিশ হয়েও প্রতিকার পাননি। বরং কামাল আহমদ তার লোকজন দিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন অবিরত।

এদিকে, প্রবাসী কামাল আহমদের পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের সময় বলা হয়- স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও নরসিংটিলা পঞ্চায়েত কমিটির সদ্যনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক) কামরুজ্জামান দিপু ওই নারীকে সহযোগিতা করছেন। 

এ বিষয়ে কামরুজ্জামান দিপু বলেন- উদ্দেশ্যমূলকভাবে কামাল আহমদ পক্ষ আমার নামে মিথ্যাচার করছে। মূলত: ওই দুই পরিবারের সমস্যা নিয়ে নরসিংটিলা পঞ্চায়েত কমিটি একাধিকবার সালিশ-বৈঠক করেছ। আমি এ কমিটির একজন হওয়ায় সালিশে ছিলাম। কামাল আহমদ জায়গা বিক্রির নামে টাকা নিয়েছেন এটা সত্যি, বৈঠকে আমাদের সামনে তিনি স্বীকারও করেছেন। এসব বৈঠকের ভিডিও-ও রয়েছে। এখন আমরা সত্যের পক্ষে থাকায় এবং কামাল আহমদকে টাকা ফেরত দিতে বলায়-ই তিনি আমাদের উপর- বিশেষ করে আমার উপর ক্ষেপে মিথ্যাচার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করছেন। এ বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।