কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১১জুন) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট জেলাধীন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কোহিনুর আহমেদের বিরুদ্ধে সীমান্ত পথে চিনি চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারী গ্যাং পরিচালনাসহ গুরুতর নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিএনপি।
এদিকে, সিলেটের জাফলং কোয়ারি থেকে পাথর লুটের অভিযোগে যৌথবাহিনীর হাতে আটক নেতাকে বহিষ্কার করেছে যুবদল। বহিষ্কার নোটিশে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া যুবদল নেতার নাম আবুল কাশেম। তিনি সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ বহিষ্কার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম মুমিন জানান, বহিষ্কারের নোটিশে আবুল কাশেমের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের দলীয় দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল বহন করবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নোটিশে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাফলং এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুট, পরিবেশবিধি লঙ্ঘন এবং চোরাচালান-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল কাশেমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তার বিরুদ্ধে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আইন লঙ্ঘন করে সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনেরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের করা একটি মামলায় পলাতক থাকায় গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠালে পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হন আবুল কাশেম।