সিলেটে আরও ৩৩ ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

সিলেটে জ্বালানি উপদেষ্টার নির্দেশের পর অবৈধভাবে পরিচালিত পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার (১৭ জুন) সিলেটের ধোপাগুল এলাকায় আরও ৩৩টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে টাস্কফোর্স।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি অধিকাংশ মেশিনের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে জব্দ করা হয়।

এর আগে গত শনিবার (১৪ জুন) সিলেটের জাফলং ইসিএ পরিদর্শনে যান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাফলং এলাকায় পরিবেশ ধ্বংসকারী পাথর খনন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখে তারা সাংবাদিকদের জানান, সিলেট অঞ্চলে আর কোনো পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে পাথর ভাঙার মেশিনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন তারা।

উপদেষ্টার নির্দেশের পর সোমবার (১৬ জুন) সিলেট সদর উপজেলায় ৩০টি ও জৈন্তাপুর উপজেলায় পাঁচটি মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের ধোপাগুল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াত। অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

অভিযানের বিষয়ে ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াত বলেন- সোমবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারের কার্যক্রম সেটারই অংশ। অবৈধ পাথর ভাঙা বন্ধে অভিযান চলবে।