জকিগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসীর যে অভিযোগ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার : 

সিলেটের জকিগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি লিখিত আকারে ওই প্রবাসী সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে দায়ের করেছেন। 

তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কওমি কণ্ঠকে বলছেন- অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মাদক ব্যবসার বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। 

জানা গেছে, জকিগঞ্জের মাইজকান্দি গ্রামের রফিক আহমদের ছেলে সুহেল আহমদ প্রবাস থেকে ৭ বছর পর ছুটিতে গত ১৩ জুন ভোররাতে বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই জকিগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সুহেলের বাড়িতে গিয়ে ‘অবৈধ মালামাল আছে’ দাবি করে তার লাগেজ তল্লাশি করেন। তবে লাগেজে অবৈধ কিছু না পেয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এসময় সুহেল ঘুষ দিতে অসম্মতি জানান। এতে সুহেলকে মামলায় ঢুকানো হবে বলে হুমকি দিয়ে কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা সুহেলের বাড়ি থেকে  চলে আসেন।

এ অবস্থায় সুহেল ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন জকিগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তিনি কওমি কণ্ঠকে বলেন- মূলত সুহেলের চাচাতো ভাই হুসাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ওই বাড়িতে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে- এমন ইনফরমেশন পেয়ে আমরা সে বাড়িতে তল্লাশি চালাই। সেখানে হুসাইয়ের একটি গাড়ি রাখা ছিলো। সেই গাড়িতে আমরা তল্লাশি করে ১০ লাখ টাকাও পাই। তবে কোনো মাদক পাইনি। ফলে কাউকে আটক করতে পারিনি, টাকাও জব্দ করতে পারিনি। তল্লাশিকালে গাড়িতে একটি লাগেজ আমরা দেখতে পাই। তবে সেটি খোলা হয়নি, প্রবাসীর লাগেজ বলায় আমরা সেটি খুলিনি। এখন নিরাপদে মাদক ব্যবসা করতে হুসাই-ই ওই প্রবাসীর মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। হুসাইয়ের বিরুদ্ধে আগের একটি মামলাও রয়েছে।