উইমেন্স মেডিকেলে ভোররাতে যে কাণ্ড

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২০ জুন) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে  হাসপাতালটিতে শিশুরোগীকে নিয়ে আসা অভিভাবকদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নিরাপত্তা কর্মীরা।

সিলেট মহানগরের পায়রা এলাকার বাসিন্দা তানজিল হোসেন কওমি কণ্ঠকে জানান- তার দেড় বছর বয়সী শিশুর ভোররাতে হঠাৎ বমি শুরু হয়। সাড়ে তিনটার দিকে তিনি উইমেন্স মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা অ‍্যাডভোকেট আতাউর রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ঘুমন্ত অবস্থায় পান। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীদের মাধ্যমে তারা ইমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে জাগাতে গেলে তিনি বিরক্ত হয়ে উঠেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথম থেকেই অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে অ‍্যাড. আতাউর রহমানের দিকে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সিকিউরিটি গার্ডদের ডেকে তিনি রোগীর স্বজনদের ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে বের করে দেন। এসময় রোগীর অভিভাবকরা জোরালো প্রতিবাদ করলে। ওই চিকিৎসকের নির্দেশে নিরাপত্তাকর্মীরা মারমুখি হয়ে উঠেন এবং অ‍্যাড. আতাউর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

এ বিষয়ে তানজিল হাসান সংবাদ সম্মেলন ও মামলা করবেন বলে কওমি কণ্ঠকে জানান।