দুজনের মৃ ত্যু : থমথমে নবীগঞ্জ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা সদরের অদূরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষের কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঘটনা-এলাকায়।

পূর্বঘোষণা দিয়ে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় আনমনু ও  তিমিরপুর গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪২) ও আনমনু গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩৬)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি (বতর্মান), গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আশাহিদ আলী আশা ও পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের খরছু তালুকদারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার রাতের সংঘাতের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আনমনু গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নবীগঞ্জ শহর ও আনমনু পয়েন্টে জড়ো হলে আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

এর জের ধরে শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। রবিবার সকালে ও রাতে হামলা হয়। সোমবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন পূর্বঘোষণা দিয়ে বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শহরের সংঘর্ষের সময় সুযোগ নিয়ে হামলা ও লুটপাট চালায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
 
শামীম আহমদ নামে এক ব্যবসায়ী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারে যখন আতঙ্কে নীরবতা নেমে আসে, তখন একটি সংঘবদ্ধ চক্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা ও লুটপাট চালায়। গত ৪ দিনে বাজারের অন্তত ৫০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। 

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘আমরা বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। সংঘর্ষ ও লুটপাটের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে।