কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে সিলেটের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কলেজের ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা দাবী করছেন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ৮ টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
আটককৃত শাহ আলম রোহিঙ্গা টিলার জোনাকীর মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে। এসময় সে স্বীকারোক্তি দেয় ছাত্রলীগ নেতা বুলেট মামুন, আবির, রায়হান, বিপ্লবের নেতৃত্বে এই হামলা করতে এসেছে।
জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। সেখানে খেলার শেষ সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে বহিরাগতরা। এতে কলেজের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় শাহ আলম নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বিকেলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচের এক পর্যায়ে সশস্ত্র ছাত্রলীগের একঝাঁক টোকাই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ২০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করতে পেরেছি। মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সহ্য করতে না পেরে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।
এ বিষয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমার শিক্ষার্থীরা বালুচরের ওই মাঠে সবসময় খেলতে যায়। এমনকি মধ্যরাতেও ফুটবল খেলে। কিন্তু, কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। মঙ্গলবার থেকে তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে টুর্নামেন্ট খেলছিল। এটা সহ্য করতে না পেরে বুধবার বিকেলে অস্ত্রশস্ত্র সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে প্রায় ১৫ জনের মতো গুরুতর আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা একজনকে আটক করেছেন এবং সেও স্বীকারোক্তি দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছে বলে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।