জিজ্ঞাসা: আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে চলে যায় এবং শুক্রবার সকালে মসজিদে আসে। এ সময়ে মসজিদের মুসল্লিরা ইমাম সাহেব এবং ভাল ক্বেরাত পড়নেওয়ালা ব্যক্তি না পেয়ে তাদের মধ্য থেকে একজন কে ইমাম বানিয়ে তারা জামাতে নামায আদায় করে। কিন্তু যাকে ইমাম বানায় তার ক্বেরাত শুদ্ধ নয়। তাদের এক বা দুই রাকাত যাওয়ার পর কোন হাফেজ ছাত্র বা ভাল ক্বেরাত পড়তে পারে এমন ব্যক্তি উপিস্থিত হয়। তখন তারা জামাতে নামায পড়বে নাকি একা নামায আদায় করে ফেলবে? কেউ কেউ বলেন, তারা জামাতে শরীক হলে সকলের নামায বাতিল হয়ে যাবে, তাদের কথা কি সঠিক?
নিবেদক, মুহা: বুরহান উদ্দীন, হবিগঞ্জ
জবাব: ইমামের অনুপস্থিতে যাকে ইমাম বানানো হয় তার ক্বেরাত যদি এমন অশুদ্ধ হয় যা দ্বারা নামাজ সহিহ হয় না, তাহলে বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী উক্ত জামাতে শরিক হবেনা। সম্ভব হলে অন্যত্র গিয়ে কোনো বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ইমামের পেছনে নামাজ পড়বে, না হয় একাকী নামাজ পড়ে নিবে। কেননা কোনো বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ইমামের সাথে জামাতে শরিক হলে সকল মুসল্লীর নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি উক্ত ইমামের ক্বেরাত এমন অশুদ্ধ না হয় যা দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী উক্ত জামাতে শরিক হতে কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, ইমাম সাহেব এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষের কর্তব্য ইমাম সাহেব ছুটিতে গেলে ইমামতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা।
দেখুনঃ (হিদায়া-১/২৭; ফাতহুল কাদীর-১/৩৭৭; ফাতাওয়ায়ে খানিয়্যাহ-১/৬৮)