কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ২০১৭ সালে দেশে গঠিত হয়েছিলো পুলিশের বিশেষ ইউনিট- ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)’। এর কার্যক্রম মূলত রাজধানী ঢাকাস্থ পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। দেশের আর কোথাও কোনো ইউনিট নেই। কোনো জায়গায় প্রয়োজন দেখা দিলে ঢাকা থেকেই এটিইউ-কে সেখানে মুভ করতে হয়।
তবে ঢাকার পর এবার সিলেটে প্রথম ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট’র কার্যক্রম চালুর কথা ভাবছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বিদায়ী কমিশনার মো. রেজাউল করিম (পিপিএম-সেবা)।
তিনি গত মে মাসে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং ২৫ আগস্ট (সোমবার) ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে এসএমপি কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মো. রেজাউল করিম বলেন- সিলেটবাসী আমাকে মুগ্ধ করেছেন। সিলেটের মানুষের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। সিলেটের জন্য আমি কিছু করতে চাই। যেহেতু আমাকে ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি চেষ্টা করবো সিলেটে এর কার্যক্রম চালু করার। আপনারা জানেন যে- ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট’র কার্যক্রম ঢাকা থেকেই পরিচালিত হয়। দেশের আর কোথাও কোনো ইউনিট নেই। আমি চেষ্টা করবো- সিলেটে একটি ইউনিট চালুর। সে পরিকল্পনা আমার আছে।
শাহপরাণ রাহ.-এর মাজারে বার্ষিক ওরস উপলক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় এসএমপি কমিশনার আরও বলেন- ৫ আগস্ট পরবর্তী মামলাগুলো থেকে নির্দোষ ব্যক্তিদের অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন দিতে শুরু করেছে মহানগর পুলিশ। ইতোমধ্যে কোতোয়ালি থানাধীন ১নং মামলার ২৮ জন নিরীহ আসামিকে অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এই ২৮ জনের মধ্যে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। যারা মূলত ওই মামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। এছাড়া আরও ৭-৮টি মামলার নিরীহ আসামিদের অব্যাহতি প্রদানের আবেদন আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি- যাতে একটা নির্দোষ মানুষও হয়রানির শিকার না হন।
উল্লেখ্য, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী (পিপিএম-সেবা)। তিনি খুলনা পিটিসি-এর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি ছিলেন। আগামী সপ্তাহের সিলেটে তাঁর যোগদানের কথা রয়েছে।