কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে আরকে কাণ্ড ঘটিয়ে গেলেন সদ্যসাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তাঁর জন্য সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ কয়েক দিন ধরে হয়ে পড়েছে অভিভাবকহীন। ‘নিয়ম’ দেখিয়ে প্রিন্সিপাল ইনচার্জকে তিনি পাঠিয়েছেন অবসরে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যাক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এছাড়া সাবেক ডিসি সংশ্লিষ্ট কাগজে স্বাক্ষর না করার কারণে বিলের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনভর খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ছিলো বিদ্যুৎহীন। এতে চরম ভোগান্তি পোহান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসক স্থানীয় নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হয়ে থাকেন। এর মধ্যে একটি খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। কিন্তু সদ্যসাবেক ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের প্রতি অভিযোগ উঠেছে- বিদায়ের আগে কয়েক মাস এটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষর করেননি। ফলে বিভিন্ন কাজ বা বিলের অনুমোদন হয়নি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এরকমই বিড়ম্বনায় পড়েছে খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বিল-সংশ্লিষ্ট কাগজে স্বাক্ষর না করায় এ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের মিটার নির্দিষ্ট সময়ে রিচার্জ করা সম্ভব হয়নি। ফলে খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকটি ভবনে বুধবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। তীব্র গরমের দিনে এমন হওয়ায় চরম কষ্টে দিন পার করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ‘সদ্য অবসরে যাওয়া’ প্রিন্সিপাল ইনচার্জ রাজকুমার সিং-য়ের মুঠোফোনে কল দিলে বুধবার বিকালে তিনি কওমি কণ্ঠকে বলেন- ‘কয়েক দিন আগে এখানে আমার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে সর্বশেষে ট্রাস্টি মিটিংয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়- পরবর্তী ট্রাস্টি মিটিং পর্যন্ত যাতে আমি দায়িত্ব পালন করে যাই। কিন্তু সদ্যসাবেক সিলেটের ডিসি মহোদয় যাওয়ার আগে আমাকে অবসর নিতে নির্দেশ করেন। কাকে দায়িত্ব দিয়ে যাবো- আমি এমন প্রশ্ন তুললে জেলা প্রশাসকের পক্ষে আমাকে বলা হয়, কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি এমনিই চলে যান। পরে ২১ আগস্ট আমি দায়িত্ব ছাড়ি। তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ট্রাস্টি মিটিং ছাড়া সেটি সম্ভবও নয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত: এখন অভিভাবকহীন।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাজকুমার সিং কওমি কণ্ঠকে বলেন- ‘বিদ্যুৎহীনতার বিষয়ে আমি এখন আর অফিসিয়াল বক্তব্য দিতে পারবো না, যেহতু দায়িত্বে নেই। তবে অভিভাবক সূত্রে জানতে পেরেছি- আজ (বুধবার) প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ভবনে বিদ্যুৎ ছিলো না।’