কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
আওয়ামী লীগের এমপি প্রতিষ্ঠিত হাফিজ মজুমদার ট্রাস্ট পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোমের শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের ছাত্র আজমান আহমেদ দানিয়েল (১৯)-র আত্মহত্যা নিয়ে গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে ফেসবুকে অনেকেই 'স্কুল কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত চাপ, মানসিক নির্যাতন ও অভিভাবককে অপমান' আজমানকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে বুধবার রাতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
এতে পুলিশ বলে- "বুধবার বিকালে এয়ারপোর্ট থানার সুবিদবাজার বনকলাপাড়া নূরানী ৩৬/৯ বাসার বাসিন্দা রাশেদ আহমদের ছেলে আজমান আহমেদ দানিয়েল (১৯) নিজ বাসার ভেন্টিলেটরের সাথে নাইলনের তার পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মর্ম সংবাদ পাওয়ার পর এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেহ উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। পরে মরদেহ পোস্টমর্টেম-এর জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে নেওয়া হয়।
আজমান আহমেদ দানিয়েল Scholarshome শাহী ঈদগাহর ইন্টারমিডিয়েট বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ও অফিসার ইনচার্জ এয়ারপোর্ট থানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় আজমানের পিতা, দাদা, চাচা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইয়েদ আব্দুল্লাহসহ এলাকার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পিতার সাথে কথা বলে জানা যায়- pre test পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় কলেজের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের ডাকেন। ভিকটিমের পিতা-মাতা দুই তিনদিন আগে কলেজে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করলে pre test পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় আজমানকে তারা আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিবেন না বলে জানান। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে অমনোযোগিতা এবং নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ উপস্থাপন করা হয়। রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তার অভিভাবকদের মনও খারাপ হয়। পরে আমানের পিতা তাকে অন্য একটি কলেজে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেছিলেন।এর মধ্যে আজকে (বুধবার) কলেজে গিয়ে কলেজ থেকে ফিরে বাসায় এসে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ রয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে উপস্থিত সকলের সামনে তার পিতা জানান- কলেজের প্রিন্সিপালসহ কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই। তারপরও এ বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।"