কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ পাঁচ নেতার সমন্বয়ে তৈরি কমিটি ইতোমধ্যে খসড়া প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে। সিলেট বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচন ঘিরে বিভাগজুড়ে বিএনপিতে দেখা দিয়েছে প্রার্থী জট। ১৯টি আসনে অন্তত ৮০ জন নেতা মনোনয়নের দাবিদার হিসেবে রয়েছেন মাঠে। এ পরিস্থিতিতে আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সিলেট বিভাগের প্রতিটি আসনের প্রার্থীদের সাংগঠনিক অবস্থা, জনসম্পৃক্ততা ও মাঠপর্যায়ের অবস্থান পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কেন্দ্রীয় টিম প্রাথমিক খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এখানে বিভাগের সব সম্ভাব্য প্রার্থীই অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, দল বড়, তাই মনোনয়নপ্রত্যাশীও বেশি। তবে এতে কোনো বিভাজন হবে না। ধানের শীষের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল জানান, দলের পক্ষ থেকে আমাকে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে, আমি সেখানে অংশ নেব।
কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রার্থী নির্ধারনে ডিজিটাল ডাটাবেজ ও অনলাইন স্ক্রুটিনি ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। প্রার্থীদের অতীত কার্যক্রম, ভোটার সংযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবস্থান এবং সাংগঠনিক রিপোর্ট যাচাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বিএনপি। এভাবে একটি স্বচ্ছ ও তথ্যভিত্তিক মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সিলেটের এক নেতা জানান, দলের নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, প্রতিটি আসনে কেবল একজন প্রার্থীই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন। আগ্রহীদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্রোহী প্রার্থিতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, প্রযুক্তিনির্ভর ও যাচাইকৃত প্রার্থী বাছাইয়ের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি শক্তিশালীভাবে মাঠে নামবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট ও খুলনা বিভাগ, নজরুল ইসলাম খান রাজশাহী ও রংপুর, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন কুমিল্লা ও বরিশাল এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে থেকে প্রার্থী চূড়ান্তের প্রক্রিয়া তদারকি করছেন।
.png) 
                     
                     
                     
                         
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    