কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেটের আরো ৫০ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসছেন। এর মাধ্যমে সবমিলিয়ে এক লাখ গ্রাহক গ্যাস মিটারের আওতায় আসবেন। পর্যায়ক্রমে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)-এর ২ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকই প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসবেন।
গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) জেজিটিডিএসএল-এর উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অফিসের কনফারেন্স রুমে জেজিটিডিএসএল-এর গ্রাহকদের সেবার মান উন্নয়ন এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আতিকুর রহমান। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি ও মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা কৌশল ও রিসোর্সেস মবিলাইজেশন) প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ সাহা, পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) এম নাসিমুল আলীম।
গণশুনানিতে জানানো হয়- বর্তমানে একজন আবাসিক গ্রাহক মাসে গড়ে ৬৬ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। প্রি- পেইড মিটার স্থাপন হলে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩৫ ঘন মিটার গ্যাস ব্যবহার করবেন। এর ফলে অনায়াসেই ৩১ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হবে। কমবে বিলও।
জালালাবাদ গ্যাসের এমডি তার বক্তব্যে বলেন, গণশুনানি মূলত সরকারি কার্যক্রমে জনগণের মতামত গ্রহণের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং নাগরিক ও সরকারের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। সরকারি অফিসকে জনবান্ধব ও গতিশীল করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে গণশুনানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। জালালাবাদ গ্যাস সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিয়মিতভাবে গণশুনানির আয়োজন করে আসছে, যাতে গ্রাহকদের মতামত সরাসরি শোনা যায়।
তিনি আরও বলেন- গ্যাস শুধু একটি জ্বালানি নয়, এটি আমাদের ঘরের আলো, রান্নার চুলা এবং শিল্পের উৎপাদন শক্তি। এই জাতীয় সম্পদ যেন নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহৃত হয়, সেটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, গ্যাস অপচয় বা চুরি হলে ক্ষতি শুধু সরকারের নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের। এক ইউনিট গ্যাসের অপচয় মানে অন্য একটি পরিবারের অধিকার বঞ্চিত হওয়া। তাই তিনি গ্রাহকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং কোনো লিকেজ বা অনিয়ম দেখলে তা দ্রুত অফিসে জানানোর অনুরোধ করেন।
এমডি বলেন, আমরা চাই, জালালাবাদ গ্যাস অফিস হোক জনগণের অফিস, যেখানে অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রতিটি গ্রাহক নিজেকে মূল্যবান মনে করেন। আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক এবং এই সম্পদের যৌথ মালিক। গ্যাস খাতকে টেকসই, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ রাখতে হলে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ, এই তিন পক্ষকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সহকারী প্রকৌশলী (সফটওয়্যার এ্যান্ড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট শাখা) ফাহিম আহমদের সঞ্চালনায় গণশুনানী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী লিটন নন্দী, প্রকৌশলী মুহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. আবু বকর, কোম্পানী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সুনীল কুমার বৈষ্ণব, মহাব্যববস্থাপক (রাজস্ব) মো. মীর মোশারফ হোসেন, মো. রুহুল করিম চৌধুরী, ডিজিএম বিপ্লব দাস, ডিজিএম ফয়জুল আক্তার চৌধুরী, ডিজিএম মো. আব্দুল ওহাব, উপ-মহাব্যববস্থাপক তৌফিকুল আহসান চৌধুরী, ডিজিএম মো. মনোয়ার হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।